শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন

বানারীপাড়ায় বিদ্যালয়ের সদ্য নির্মিত গেট ভেঙ্গে আহত ১

বানারীপাড়ায় বিদ্যালয়ের সদ্য নির্মিত গেট ভেঙ্গে আহত ১

বিশেষ প্রতিনিধি॥ এবার ভেঙ্গে পড়লো বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রাম্মনকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য নির্মিত গেট। আর এতে অপ্লের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলো কোমলমতি শিক্ষার্থীরা, তবে আহত হয়েছেন মো. রনি নামের একজন শ্রমিক। সরেজমিনে দেখাগেছে গেটের মুল অংশের মাঝেও ফাঁটল’র সৃষ্টি হয়েছে।

জানাগেছে পিইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় এলজিইডির বাস্তবায়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর (ওয়াল) ও গেট নির্মান করেন বানারীপাড়ার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নুসরাত এন্টার প্রাইজ’র সাব কন্টাক্টর মোঃ নাইম মোল্লা।

ওই কাজ নিম্মমানের হওয়ায় প্রথম থেকেই এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ সচেতন মহল বিভিন্ন সময় অভিযোগও করেছেন সংশ্লিষ্ট অফিসে। অভিযোগের এক পর্যায়ে বানারীপাড়া উপজেলা প্রকৌশলীর পক্ষ থেকে গেট ভেঙ্গে নুতন করে নির্মাণ করার জন্য ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ লেভার নিয়ে কাজ করছিলেন। স্কুল চলাকালীণ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মূল গেটের ওপরে কাজ করার সময় হঠাৎ নিচের দিকের বড় একটি অংশ (ভিম) ভেঙ্গে পড়ে মোঃ রনি নামের এক শ্রমিকের পায়ে গুরুতর জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে ওই এলাকার ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম সুমন ঘরামী এবং ব্রাক্ষ্মণকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলু হালদার জানান,মূল গেট নির্মাণে ১৬ মিলি রড দেয়ার পরিবর্তে ১২ মিলি রড এবং ১২টি রড দেয়ার স্থলে মাত্র ৪টি রড দেয়ার কারনে গেটটি অনেক নিম্নমানের হয়। তারা উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ’র সামনেই অভিযোগ করে জানান, গেটটি নির্মাণের সময় প্রকৌশলী অফিস থেকে কোন প্রকার তদারকী করা হয়নি।

এ ব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ জানান এই কাজটি নিম্নমানের হয়েছে অভিযোগ পেয়ে তার প্রমান পাওয়ায় পরে তারা অফিস থেকেই পূণরায় কাজটি করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে এই উপজেলায় এরকমের আর নিম্নমানের কাজ হয়েছে কিনা সেটা তিনি জানেন না।

এদিকে ওই বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণেও বড় ধরণের দূর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই বাউন্ডারী ওয়ালের নিচের অংশের সম্পূর্ণ জায়গায় রড় দেয়ার কথা থাকলেও ওই স্থানে একটি রডও ব্যবহার করেনি ঠিকাদার নাইম মোল্লা। ওই কাজটি নির্মাণে প্রায় ৬ লাখ টাকা বরাদ্ধ ছিলো বলে ঠিকাদার নাইম মোল্লা জানান। অপরদিকে উপজেলার মধ্যে যতটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেট ও বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে তাও খতিয়ে দেখতে সচেতন মহল থেকে দাবী উঠেছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2012
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD