বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১১ পূর্বাহ্ন
রিপোর্ট আজকের বরিশাল:
মেয়ে হত্যার ন্যায্য বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে গরীব পিতা গনেশ চন্দ্র ঢালী। সোমবার পিরোজপুর প্রেসক্লাবে খুলনার কাঠমিস্ত্রি গনেশ চন্দ্র ঢালী নিজ জামাতা পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানি গ্রামের প্রয়াত কিরণ বিশ্বাস মন্ডলের পুত্র বিজন মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ৩০ জুন তার মেয়ে শ্রাবন্তীর সাথে দক্ষিণ ইন্দুরকানি গ্রামের প্রয়াত কিরণ বিশ্বাস মন্ডলের পুত্র বিজন মন্ডলের বিয়ে হয়। বিজন মন্ডল পেশায় একজন গানের মাষ্টার। সেই সুবাদে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত এবং আগে থেকেই পর নারীর প্রতি সে আসক্ত ছিল। তার মেয়ের সাথে বিয়ের পর তারা জানতে পারে বিজনের আগে একাধিক বিয়ে ছিল। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তার মেয়ের প্রতি খারাপ আচরণ করতে থাকে জামাতা। সময়-অসময় তার কাছে টাকা দাবি করে। কিছুদিন আগে তাকে মটর সাইকেল কেনার জন্য ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ছিলেন ম্বশুর গনেশ চন্দ্র। এর পর কিছুদিন আগে জামাই বিজন মন্ডল তার কাছে ৪ লাখ টাকা দাবী করে। গরীব শ^শুর তা দিতে অপারগ হলে মেয়ের ওপর অত্যাচার করে গত ৭ এপ্রিল সকালে শ্রাবন্তীকে হত্যার পর পুলিশকে খবর দিয়ে বলা হয় সে আত্মহত্যা করেছে। ওইদিন সকাল ১০টায় তাকে (গনেশ চন্দ্র) জানানো হয় যে, তার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে তাকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। তাকে থানায় যেতে বলে তার জামাইয়ের ভাই দিপক কুমার মন্ডল তারা থানায় পৌঁছনোর আগেই থানায় একটি জিডি করে। তাদেরকে কোন রকম মুখ দেখিয়ে তড়িঘড়ি করে সৎকার করা হয়। তিনি বলেন,আমার মেয়ে শ্রাবন্তীকে হত্যা করে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হয়।এ ঘটনার পর তিনি ইন্দুরকানি থানায় হত্যা মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। পুলিশও বলে, এটি আত্মহত্যা। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে আমার বিশ্বাস। তিনি জানান, সেই মৃত্যুর দিন থেকে তার জামাতা সহ বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। যাতে পুলিশ ও পিরোজপুর সদর হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে না পারে সে জন্য তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টিকে তুলে ধরে মেয়ে হত্যার প্রকৃত বিচার দাবী করেন।এ সময় মেয়ে শ্রাবন্তীর মা, তার একমাত্র কন্যা সন্তান অনন্যা বিশ^াষ সহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।