রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের বারৈগাতি গ্রামের মরিসাস প্রবাসী গার্মেন্টস্ শ্রমিক শেখ রাজুর বসতঘর পোড়ানো মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রবাসীর স্ত্রী রোকসানা বেগম। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সাংবাদিক সং¯’া ঝালকাঠি জেলা শাখা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রোকসানা এ বিষয়ে বিস্তারিত ঘটনা তুলে ধরে এ দাবী জানান। লিখিত বক্তব্যে রোকসানা বেগম বলেন, গত ১৭ এপ্রিল আমার বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে প্রতিশোধ নেয় একই গ্রামের আসামী জুবায়ের হাচান (২৪) ও তার পিতা শেখ জলিল (৪৫)। ঘর পুড়িয়ে দেয়ার কারন আমার ছোট বোন ইতিপূর্বে আমার সাথেই থাকত। আসামী জুবায়ের প্রতিবেশি হওয়ায় বোনকে বিবাহ করে। পরবর্তিতে বোনের অনুমতি না নিয়ে জুবায়ের আরো একটি বিবাহ করে বোনকে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেলের হস্তক্ষেপে জুবায়ের ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে বিবাহ বি”েছদ হয়। এরপর সে দেড় লাখ টাকা দিয়ে আমার ঘরে আগুন লাগিয়ে ভিটা ছাড়া করে প্রতিশোধ নেয়ার হুমকী দেয়। সেই থেকে আসামীদের সাথে আমাদের শত্রæতার সৃষ্টি হয়। ঐ হুমকীর পর থেকে ঘটনার দিনও আমি আমার ২ নাবালক সন্তান নিয়ে রাত ১১ টার দিকে শশুরের ঘরে ঘুমাতে যাই। সেই দিন মধ্য রাতে হঠাৎ আমি আমার ঘরের দিকে আলো দেখতে পাই। বাহিরে নেমে দেখি আমার ঘরের বেড়া ছুটিয়ে আসামীরা আগুন লাগিয়ে দি”েছ। এসময় ডাক চিৎকারে আসামীরা পালিয়ে যায় এবং স্বাক্ষিরা ঘটনা ¯’লে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। ততক্ষণে আমার ঘর ও ঘরের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আমার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ১৬ লাখ টাকা। এ বিষয়ে ঝালকাঠি থানায় গত ১৮ এপ্রিল জিডি করতে যাই। পরে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার ও ওসি সাহেবের পরামর্শে মামলা দায়ের করতে চাইলেও তা করতে পারিনি। ওসি সাহেব ১৮ এপ্রিল সারা দিন আমাকে বসিয়ে আসামীদের নাম দিয়ে এজাহার লিখিয়ে আমার স্বাক্ষর নিয়ে তদন্ত করবে বলে পাঠিয়ে দেয়। পর দিন গত ১৯ এপ্রিল আমার ভাই মো. মাইনুল ইসলাম ওসি সাহেবের সাথে দেখা করতে গেলে বলা হয় আপনারা বেনামে এজাহার দিন নয়ত আদালতে মামলা করেন। শেষ পর্যন্ত আমি ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত ২১ এপ্রিল মামলা করি। সিআর মামলা নং ১২০/১৯। আদালতের বিচারক বিষয়টি ডিবি ওসিকে তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের আদেশ দেন।