সোমবার, ০৫ Jun ২০২৩, ০১:৪১ অপরাহ্ন
রিপোর্ট মোঃ ইলিয়াছ চৌধুরী :
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে ভোলায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ঘরচাপা পরে নিহত হয়েছে এক নারী। জেলায় দফায় দফায় ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট ও গাছ পালা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হয়ে পড়েছে জনজীবন। স্থানীয়রা জানায়, ভোরে ভারী বর্ষণের সাথে প্রবল বেগে ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। এতে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া ও কোড়ালিয়া গ্রামের অর্ধশতাধিক অর্ধ ঘড়বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ঘর চাপা পরে বাঁধের আশ্রিত রানী বেগম (৫০) নামের এক নারী মারা যায়। নিহত রানী বেগম সামসুল হকের স্ত্রী।দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সফিকুল ইসলাম জানান, ঝড়ের সময় ঘরচাপা পড়ে এক নারী নিহত হয়েছে। এছাড়াও অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চত করেছেন। অপরদিকে দৌলতখানের মদনপুর এলাকায় ঝড়ে ৩০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার বাসিন্দা লুৎফর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার ভোর রাত থেকে ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদী, দৌলতখানের মদনপুর চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, কুকরি মুকরি, চর পাতিলা, মুজিবনগর, লালমোহন উপজেলার কচুয়ালীর চর, মনপুরার কলাতলীর চর সহ বেশ কিছু এলাকায় ঝড়ো বাতাস বয়ে যায়। ওই সব এলাকায় দুই শতাধিক ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে উপকূলবর্তী নিচু এলাকা।
ঢালচর চর থেকে আঃ রহমান জানান, ঝড়ের প্রভাবে একটি স্কুলসহ বেশ কিছু ঘর বাড়ি ও দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। কচুয়াখালীর চর থেকে জেলে নাছির জানান, শনিবার সকালে একটি ট্রলার পুবে গেছে। আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে মাইনুদ্দিনে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ৪/৫ জন আহত হলেও কেউ নিখোঁজ নেই। মদনপুর থেকে লুৎফর রহমান জানান, ঝড়ে ২০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বহু গাছাপালা উপড়ে গেছ। ভোলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) উপ-পরিচালক শনিবার মধ্যরাত থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় পর্যন্ত সমগ্র ভোলাতে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিলো ৭০/৮০ কিলোমিটার। এখনও ৭ নাম্বার সংকেত বহাল রয়েছে। কোথায় বড় ধরনেরর ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল আমিন জানান, চরফ্যাশনে তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয় যায়নি, তবে ফসল ও গাছপালা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাতে জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৩৮হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক ও পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন সাইক্লোন সেল্টারে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছি, তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।।