সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:০১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালে জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ও লুটপাট আহত অন্তত ৭ জন, থানায় অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ট্রাম্পের শুভেচ্ছাবার্তা কিসের ইঙ্গিত? ভারত কি তবে ব্যর্থ! কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’ — আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবু সাঈদের ‘ভাস্কর্য’ চায় না পরিবার সংস্কার ও বিচারবিহীন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না : নাহিদ একাত্তরের অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতেই ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান- আসিফ মাহমুদ জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের দায়িত্বে সিমন্স

বরিশালে চাঁই বুনার ধুম

রিপোর্টঃ
বর্ষাকালে দেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ বাঁশের ফাঁদ (চাঁই-বুচনা) দিয়ে মাছ শিকার করতে দেখা যায়। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চল বরিশালের জেলার গ্রামগুলোর খাল-বিল নদী-নালায় ফাঁদ পেতে খুব সহজেই বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ শিকার করা হয়। যুগের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ফাঁদের আকার-ধরণ ও নকশায় পরিবর্তন হলেও, এখনও জনপ্রিয়তা কমেনি চাঁই-বুচনা-গড়ার।বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজার ঘুরে জানা গেছে, সারবছর ধরে চাঁই-বুচনা তৈরি করে থাকেন গ্রামীণ নারী ও পুরুষরা। তবে এ অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে এই ফাঁদ বানানোর ধুম পড়ে যায় বর্ষাকালের আগ মুহূর্তে। আর বর্ষার শুরু থেকে সেসব চাঁই স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রির জন্য ওঠানো হয়।এসব হাট থেকে যেমন খুচরা ক্রেতারা চাঁই কিনেন, তেমনি আবার পাইকাররা কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য পাঠান।মাছ ধরার ফাঁদ ব্যবসায়ীরা জানান, বিভিন্ন আকার ও আঙ্গিকে তৈরি মাছ ধরার এ ফাঁদগুলোর রয়েছে বাহারি নাম। যেমন-চাঁই, বুচনা, গড়া, চরগড়া, খুচইন ইত্যাদি। আবার চাঁইয়ের মধ্যেও রয়েছে নামের বিভেদ। যেমন-ঘুনি চাঁই, কইয়া চাঁই, বড় মাছের চাঁই, জিহ্বা চাঁই, গুটি চাঁই ইত্যাদি।বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাজারের চাঁই ব্যবসায়ী মতি লাল বিশ্বাস বলেন, সারাবছর ধরে চাঁই বিক্রি করলেও জ্যৈষ্ঠ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত চারমাস এর বিক্রি বেশি হয়। কাঁচামালের দর বেড়ে যাওয়ায় এখন চাঁইয়ের দরটাও অনেক বেশি।
আর ফাঁদ বানানোর স্থানীয় কারিগররা জানান, মাছ ধরার ফাঁদ তৈরিতে বাঁশ আর সুতা ব্যবহার করা হয়। তবে বাঁশের সংকটের কারণে দিনে দিনে এসব মাছ ধরার ফাঁদের দর বাড়ছে। বর্তমান বাজারে আকার ও আকৃতি ভেদে এসব ফাঁদ দেড়শ থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়ে থাকে।সৌখিন মৎস্য শিকারি মিন্টু মিয়া বলেন, দক্ষিণের এ অঞ্চলের গ্রামের মানুষের কাছে চাঁই-বুচনা আগে যেমন জনপ্রিয় ছিল, এখনও রয়েছে। চাঁই খাল আর বিলে কিংবা ডুবে যাওয়া ফসলি ক্ষেতে পেতে রাখা হয়। যেখান থেকে দেশীয় প্রজাতির চিংড়ি, শোল, শিং, কৈ, খইলসা, পুঁটি মাছ ধরা পরে। তবে এখন বেশি পানিতেও ফাঁদপাতার জন্য বড় আকারের চাঁই বানানো হয়, যাতে রুই-কাতলও ধরা পড়ে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2012
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD