বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
রিপোর্ট আজকের বরিশাল :
কারাগারের প্রধান ফটকে বড় অক্ষরে লেখা “রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ” বাক্যটি এখন শুধু স্লোগান নয়। বাক্যটি বাস্তবায়ন করার লক্ষে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারই ধারাবাহিকতায় এসকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে কারাকতৃপক্ষ। প্রায় আড়াইশ’ বছর পর কারাবন্দীদের সকালের নাস্তার তালিকা পরিবর্তন এনে সকালের নাস্তায় নতুন তালিকায় থাকছে ভুনা খিচুড়ি, সবজি ও হালুয়া রুটি। একই সঙ্গে, শিঘ্রই স্বজনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার সুযোগ পাবে কারাবন্দীরা। গত ১৬ জুন কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেই সাথে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে সকালে খাবারে তালিকায় পরির্বতন হওয়ায় সাধারন বন্দীদের মুখে হাসি ফুঠেছে বলে জানিয়েছে কারাগার থেকে সদ্য মুক্তিপাপ্ত ব্যক্তি। জেলার ইউনুস জামান জানান, এর আগে ব্রিটিশ আমল থেকে কারাগারে বন্দীরা সকালের নাস্তায় পেতেন ১৪.৫৮ গ্রাম গুড় এবং ১১৬.৬ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। একই পরিমাণ গুড়ের সঙ্গে একজন বন্দী পেতেন ৮৭.৬৮ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। আর সরকারের নির্দেশ মতে এখন সকালের নাস্তার নতুন তালিকায় কারাবন্দীরা সপ্তাহে দুদিন পাবেন ভুনা খিচুড়ি, চারদিন সবজি-রুটি, বাকি একদিন হালুয়া-রুটি। তিনি আরো জানান, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার এখন আর সাধারন কয়েদী-হাজতিদের দুঃখ, কষ্ট করে সাজা ভোগ করতে হবে না। কারন সরকার বন্দীর জন্য দিয়েছেন নানা সুবিধা। জানা গেছে- প্রিয়জন ও স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগে কারাবন্দিদের জন্য চালু করা হয়েছে “প্রিজন লিঙ্ক স্বজন” সার্ভিস। বন্দীরা যেন প্রিয়জনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে পারেন সেজন্য “প্রিজন লিংক স্বজন” সার্ভিস শিঘ্রই চালু করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্প হিসেবে টাঙ্গাইলে এ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ নির্দেশ পেলে এ সার্ভিস চালু করা হবে। সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া একাধীক ব্যক্তি জানান, সকালের নাস্তার মেনু পরির্বতনের বন্দী সবাই খুশি। জেল খানার খাবার এ রকম কোন দিন পরির্বতন হবে তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। তা ছাড়া আগের তুলনায় দুপুর ও রাতের খাবারের মান পরির্বতন করছে কারাকতৃপক্ষ। এখন মানসম্মত খাবার পেটভরে সব বন্দীরা খেতে পারে। কারাবন্দীরা মুক্তির পর যাতে পুনরায় অপরাধে না জড়ান এবং সংশোধনের সুযোগ পান সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বন্দীরা কারাগারে থেকে মানসিক প্রশান্তি পেলে তাদের অপরাধ প্রবণতা কমবে বলে মনে করেন সুশিল সমাজ। তাই সরকারের এমন উদ্যোগকে সাদুবাদ জানিয়েছেন কারাবন্দীরা।