মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
রিপোর্ট আজকের বরিশাল:
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই বরগুনার রিফাত শরীফ (২২) এর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপত ডাঃ জামিল হোসেন। ময়নাতদন্ত শেষে বৃহষ্পতিবার (২৭ জুন) তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, নিগত রিফাত শরীফের গলায়, মাথায়, বুকে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা ধারালো অস্ত্রের আঘাত বলেই প্রাথমিকভাবে বোঝাগেছে। আঘাতগুলোর মধ্যে গলায়, মাথায় ও বুকে তিনটি গুরত্বর জখম রয়েছে, বাকী ৩/৪ টি আঘাতের চিহ্ন ততটা গুরুত্বর নয়। বিশেষ করে গলার আঘাতের কারণে বিভিন্ন ধরনের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ রগ কর্তন ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরফলে এতোটাই রক্তক্ষরণ হয়েছে, যা সময়ের ব্যবধানে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বিস্তারিত বিষয়গুলো ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেই নিশ্চিত করে উল্লেখ করা হবে। এদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের আওতাধীন মর্গ সূত্রে জানাগেছে, ৬ টি আঘাতের (ধারালো অস্ত্রের) চিহ্ন সনাক্ত করা হয়েছে, যারমধ্যে ৩ টি গুরুত্বর। এরআগে বেলা ১১ টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ আলোচিত এই হত্যাকান্ডে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বোর্ড/ কমিটি গঠন করেণ। যে বোর্ডে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের সহকারী অধ্যাপত ডাঃ জামিল হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়। কমিটির বাকী ২ সদস্য হলেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডাঃ মাইদুল হোসেন ও ডাঃ সোহেলী আক্তার তন্নী। এরআগে শেবাচিম হাসপাতালের লাশ রাখা কক্ষ থেকে সকাল ১০ টার দিকে নিহত রিফাত শরীফের মরদেহ মর্গে নিয়ে আসা হয়। সেখাণে বেলা ১১ টা ১০ মিনিট থেকে পৌনে ১২ টা পর্যন্ত চলে ময়নাতদন্তের কার্যক্রম। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত রিফাতের মরদেহ নিয়ে বেলা ১ টার দিয়ে স্বজনরা সড়কপথে বরগুনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এদিকে বুধবার রিফাতের মৃত্যুর পরপরই বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সাইদুল ইসলাম মরদেহের সুরতহাল করেন। যে প্রতিবেদনে নিহতের মাথার ওপর কোপের জখম, গলার ডান পাশে লম্বা কোপের জখম (সেলাই করা), বুকের ডান পপাশে কাধ সলগ্ন কোপের জখম(সেলাই করা), বামহাতের কনুইয়ের নীচে কোপের জখম এবং বৃদ্ধা আঙ্গুলে কোপের জখমের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।