সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০১:৩৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালে জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ও লুটপাট আহত অন্তত ৭ জন, থানায় অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ট্রাম্পের শুভেচ্ছাবার্তা কিসের ইঙ্গিত? ভারত কি তবে ব্যর্থ! কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’ — আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবু সাঈদের ‘ভাস্কর্য’ চায় না পরিবার সংস্কার ও বিচারবিহীন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না : নাহিদ একাত্তরের অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতেই ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান- আসিফ মাহমুদ জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের দায়িত্বে সিমন্স
শিক্ষিকার বেত্রাঘাতে শিশু শিক্ষার্থী আহত

শিক্ষিকার বেত্রাঘাতে শিশু শিক্ষার্থী আহত

রিপোর্ট আজকের বরিশাল:
পড়া না পারায় ফাতেমা আক্তার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে মারলেন এক শিক্ষিকা। লাঠির আঘাতে ওই ছাত্রীর ডান চোখের পাশ ফেটে গেছে। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চন্দ্রকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত বুধবার এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আহত ফাতেমা আক্তার উপজেলার জোয়ারআওরাবুনিয়া গ্রামের মো. সুমন হাওলাদারের মেয়ে।ঘটনার পর ওই ছাত্রীর পরিবার স্থানীয় থানা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে চাইলেও অভিযুক্ত শিক্ষিকার চাপের কারণে তা আর পারেনি। বৃহস্পতিবার সকালে ওই স্কুলের এক শিক্ষকের মধ্যস্থতায় আহত ছাত্রীর পরিবারকে ডেকে নিয়ে মীমাংসার নামে বিষয়টি ধামাচাপা দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।স্থানীয়রা জানান, পড়া না পারায় তৃতীয় শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ডলি আক্তার। লাঠির আঘাতে ফাতেমা আক্তারের ডান চোখের পাশ ফেটে যায়। এরপর আহত ছাত্রীর হাতে ১০টাকা দিয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে না জানাতে বারণ করেন ওই শিক্ষিকা। কিন্তু সহপাঠিদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনে যায় তারা। মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে ফাতেমার বাবা-মা থানা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাতে চাইলে ওই শিক্ষিকার পক্ষ থেকে বিষয়টি চেপে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাতভর কয়েক দফা বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলের অফিস কক্ষে মীমাংসার নামে বিষয়টি ধামাচাপা দেন শিক্ষকরা।অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষিকা ডলি আক্তার বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়।আর ওইদিন কোন শিক্ষার্থীকে মারধরও করা হয়নি।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সোহেলী পারভীন বলেন, ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে শিক্ষিকা ডলি আক্তারের একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল লাইব্রেরীতে তার সমাধান হয়েছে।এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল বলেন, বর্তমান আইন অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের গায়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা হাত তুলতে পারেন না। যদি ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষকে অভিযোগ করা হয়ে তবে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমি নিজেও বিষয়টির খোঁজখবর নিবো। প্রমাণ পাওয়া গেলে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2012
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD