রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন
শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়। উইকেটে আসা যাওয়ার মধ্যে ব্যাটসম্যানরা। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ কি ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারবে? দলের রান ২০০ পার হবে? এমন বিপর্যয়ের মধ্যে লড়াই চালিয়ে গেলেন মুশফিকুর রহিম। করলেন হাফ সেঞ্চুরি। দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেন তিনি। দলীয় ১১৬ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মুশফিকের সঙ্গে দারুণ পার্টনারশিপ গড়েন মিরাজ। এই দুই ব্যাটসম্যানের উপর ভর করে লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। রবিবার স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৮ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৮ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। ওয়ানডেতে এটি তার ৩৭তম হাফ সেঞ্চুরি। গত ম্যাচেও তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে নুয়ান প্রদীপ ২টি, ইসুরু উদানা ২টি ও আকিলা ধনঞ্জয়া ২টি করে উইকেট শিকার করেন।আজ তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসাবে ওয়ানডেতে ৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিক। এর আগে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান ছয় হাজার রানের গণ্ডি পার করেন। ওয়ানডেতে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মুশফিক তৃতীয় সেরা রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯১ রানে জয় পেয়েছিল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। সুতরাং, সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে হলে আজ বাংলাদেশের জয়ের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। দলীয় ২৬ রানে প্রদীপের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান ওপেনার সৌম্য সরকার। ১৩ বলে ১১ রান করেন এই ওপেনার। দলীয় ৩১ রানে বোল্ড হয়ে ফিরে যান অপর ওপেনার তামিম ইকবাল। ৩১ বলে ১৯ রান করেন অধিনায়ক। ওয়ানডাউনে নেমে মোহাম্মদ মিথুন ২৩ বলে ১২ রান করে আকিলা ধনঞ্জয়ার বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন। এরপর দলীয় ৬৮ রানে ধনঞ্জয়ার বলে বোল্ড হন রিয়াদ। ১৮ বলে ৬ রান করেন তিনি। গত ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে মুশফিক ও সাব্বির ১১১ রানের জুটি গড়েছিলেন। আজও তাদের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। কিন্তু হতাশ করেন সাব্বির। দলীয় ৮৮ রানে রান আউট হন তিনি। ১৯ বলে সাব্বিরের সংগ্রহ ১১ রান। সাব্বির ফিরে গেলে মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মোসাদ্দেক। ২৭ বলে ১৩ রান করে ফিরে যান তিনি। দলীয় ১১৭ রানে উদানার বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন এই ব্যাটসম্যান। দলীয় ১১৭ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর মুশফিক ও মিরাজ ৮৪ রানের জুটি গড়ে দলের রানটা বাড়িয়ে দেন।সংক্ষিপ্ত স্কোর বাংলাদেশ ইনিংস: ২৩৮/৮ (৫০ ওভার) (তামিম ১৯, সৌম্য ১১, মিথুন ১২, মুশফিক ৯৮*, রিয়াদ ৬, সাব্বির ১১, মোসাদ্দেক ১৩, মিরাজ ৪৩, তাইজুল ৩, মোস্তাফিজুর ২*; ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ০/৩৯, প্রদীপ ২/৫৩, উদানা ২/৫৮, লাহিরু কুমারা ০/৪২, আকিলা ধনঞ্জয়া ২/৩৯)।