মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১০:৪২ অপরাহ্ন
বানারীপাড়া পৌর শহর এক ভূতুরে ও ময়লা আবর্জনার ভাগাড় শহরে পরিনত হয়েছে। গত ১৪ জুলাই থেকে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের পেনশন সহ বেতন-ভাতা সরকারী কোষাগার থেকে দেওয়ার দাবীতে রাজধানী ঢাকায় আন্দোলনে থাকায় পৌর শহরে সড়ক বাতি না জ্বলায় এক ভূতুরে পরিবেশের সৃস্টি হয়েছে।এছাড়া জমে থাকা ময়লা- আবর্জনা পরিস্কার না করায় পৌর শহর যেন ময়লা -আবর্জনার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। এর থেকে মশার উৎপত্তি হওয়ায় এবং সরকারের মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় জনমনে ডেঙ্গু আতংক সৃস্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরের রাস্তা-ঘাট সংস্কার না করায় খানা খন্দকের সৃস্টি হয়ে সিংহভাগ সড়ক মরণ ফাঁদে পরিনত হয়ে আছে। সড়কে সৃস্টি হওয়া অসংখ্য গভীর গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আরও বেহাল অবস্থার সৃস্টি হয়ে জন ভোগান্তি বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। এমন অবস্থার মধ্যে পৌর শহরে সড়ক বাতি না জ্বলায় অন্ধকারের মধ্যে চলতে গিয়ে দূর্ঘটনা নিত্যনৈমেত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে শিশু,বৃদ্ধ ও নারীদের রাতের বেলায় চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। রোগীদের ভোগান্তিরতো সীমা নেই। এদিকে পৌর শহরে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় প্রতি বাড়ির মধ্যে,বাড়ির সামনের রাস্তা ও ডোবা-নালা-খালে ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তুপ করে রাখায় দীর্ঘদিনে তা পরিস্কার না করায় পুতিদুর্গন্ধে বসবাস ও রাস্তা দিয়ে চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। খালগুলো ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে মৃত খালে রূপ নিয়েছে। এসব উৎস থেকে মশা মাছি সৃস্টি ও রোগ জীবানু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ডেঙ্গু মশা সৃস্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। পৌরবাসী তাদের এ ভোগান্তি থেকে পরিত্রান পেতে মেয়রের আশু কার্যকরী পদক্ষেপ কামনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল জানান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকায় আন্দোলনে থাকায় পৌরবাসীকে সাময়িক যে ভোগান্তির সন্মূখিন হতে হয়েছে তা বিকল্প উপায়ে দু/একদিনের মধ্যে দূর করা হবে। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে করনীয় নির্ধারনী বৈঠক করেছেন বলেও জানান তিনি।