শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৩:২২ অপরাহ্ন
রিপোর্ট আজকের বরিশাল :
বরিশাল বিভাগের সর্বপ্রাচীন ও বৃহৎ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ এ দীর্ঘদিন ধরে দেওয়া হয় পরিবার পরিকল্পনা সেবা। জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে সরকারি গুরুত্বের কারণে সেখানে আলাদা ভাবে খোলা হয়েছে পরিবার পরিকল্পনা সেবা কেন্দ্র। কিন্তু সঠিক প্রচারণা ও সংশ্লিষ্ট সবার আগ্রহের অভাবে এই সেবার কথা রয়ে গেছে অনেকটাই অজানা। যার ফলশ্রুতিতে পরিবার পরিকল্পনার সবধরনের সরকারি সেবা হাসপাতালটিতে থাকার পরেও সেগুলো গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজারো মানুষ। এ ব্যাপারে হাসপাতালটির পরিচালক জনাব মোহাম্মদ বাকির হোসেন এর সঙ্গে কথা বললে তিনি আক্ষেপের সুরে জানান, “আমি পরিচালক হবার আগেও যখন শেবাচিম এর নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ছিলাম তখন থেকে হাসপাতালে পরিবার পরিকল্পনা সেবার ব্যাপারে সচেতন ছিলাম। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আমি এখানে পিপিপির আওতায় পরিবার পরিকল্পনার সব রকমের সেবা নিশ্চিত করেছি। কিন্তু পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ও এনজিও গুলো আরেকটু সচেতন হলে এবং প্রচারণা চালালে আরো অনেক মানুষকে এই সেবার আওতায় আনা সম্ভব হয়।” তিনি এই সেবাকে এ অঞ্চলের সকল পরিবারের কাছে পৌঁছাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সাহায্যের আহবান জানান। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যাতীত যেকোনো সময়ে হাসপাতালটির গাইনী বিভাগের আউটডোরে থাকে উপচে পড়া ভীড়। এখানে আসা রোগীদের বেশিরভাগই মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন জটিলতার চিকিৎসা নিতে আসে। সমাজের আয় কাঠামোর নিচের সারির লোকেরাই এখানে বেশি আসেন। রোগীদের পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপারে অসচেতনতার প্রসঙ্গ টেনে আবাসিক সার্জন ডাঃ কানিজ ফাতিমা বলেন, ” যদি পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপারে রোগীদের সচেতন করা যায় তবে এখানে এই রোগীর চাপ অর্ধেকে নেমে আসবে। ” তিনি মাঠ পর্যায়ে যারা পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেন তাদেরকে আরো সচেষ্ট হয়ে সেবা প্রদান কেন্দ্রে রোগী পাঠানোর ওপর গুরুত্ব দেবার কথা বলেন। সঠিক পরিবার পরিকল্পনার অভাবে নারীরা অপরিকল্পিত গর্ভধারণ, সঠিক পুষ্টিহীনতা, রক্তশূন্যতা, অপরিপক্ক শিশুর জন্মদান ইত্যাদির সম্মুখীন হয়। যার ফলে পরিবারে অর্থনৈতিক সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় স্ত্রী স্বাস্থ্যের অবনতি। এসব ব্যাপারে পরামর্শ ও সেবা প্রদানের লক্ষে শেবাচিম এর পাঁচ তালায় খোলা হয়েছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। গাইনী বিভাগে যারা চিকিৎসা নিতে আসেন তাদের মধ্যে যাদের পরিবার পরিকল্পনা সেবা লাগবে বলে ডাক্তার মনে করেন তাদেরকে পাঠানো হয় এই বিভাগে। বিভাগটি সম্পর্কে সেখানকার সার্ভিস ফ্যাসিলেটর সোহেলী পারভীন জানান, ” পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে এখান থেকে পরিবার পরিকল্পনার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সেবা দেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে আছে কনডম, খাবার বড়ি, ভ্যাসেকটমি, ইমপ্লান্ট ইত্যাদি। “