রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
রিপোর্ট আজকের বরিশাল:
বরিশাল নগরবাসীর সামনে প্রথমবারেরমত প্রকাশ্য বাজেট ঘোষণা করবেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের আগামী বাজেটের আকার কেমন হবে তা এখনি প্রকাশ না করলেও ‘স্বপ্ন বিলাসী’ কোন বাজেট হবে না বলে জানিয়েছেন নগর ভবনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু। তিনি মেয়রের বরাত দিয়ে জানান, অনেকগুলো সুখবর রয়েছে আসন্ন বাজেটে। এই কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, নতুন করে কোন কর আরোপ করা হবে না ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বাজেটে। আর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, দখলকৃত খাল পুনরুদ্ধার এবং খনন। আর নগরীর সৌন্দর্য বর্ধণের কাজও গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে আসন্ন বাজেটে। বেলায়েত বাবলু বলেন, মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে কোন বাজেট আসবে না বলে নিশ্চিত করেছেন মাননীয় মেয়র। তার ভষ্যমতে, জনগনের যা দরকার হবে সেটিই হবে আসন্ন বাজেট। নগরভবন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কোন ধরণের কর্মচারী অসন্তোষ বিরাজ করছে না। নগরবাসীর সেবার মানও বেড়েছে। পাশাপাশি কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতনও নেই। এটিকে বর্তমান মেয়রের সবচেয়ে বড় অর্জন বলতে চান কর্মকর্তা কর্মচারীরা। জানা গেছে, দিন দিন আয় বাড়ছে নগরভবনে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলায় এটা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এর আগে অর্থাৎ ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের বাজেট ছিল ১৭তম বাজেট। ওই বাজেটের আকার ছিল ৪৪৩ কোটি টাকা। আর চলতি বাজেট বাস্তবায়নমুখি হওয়ায় আকার অনেক বাড়বে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিগত অর্থ বছরে কর আদায় শাখায় গৃহকর আদায়ের লক্ষ্য ছিল ২৪ কোটি ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫৯ টাকা। আদায় হয় ১৫ কোটি ৮৫ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৪ টাকা। আদায়ের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। যা তার পূর্বের অর্থ বছরের চেয়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়। আদায়ের হিসেবে এই হার ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের চেয়ে বেশি। কারণ ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে গৃহকর আদায়ের লক্ষ্য ছিল ২৩ কোটি ৭৮ লাখ ২৫ হাজার ২৪২ টাকা। সেখানে আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার ৭৯৩ টাকা। নগর ভবনের যানবাহন শাখার সুপারিনটেন্ড মাইনুল ইসলাম মানিক জানিয়েছেন, বর্তমানে ৭৪১০টি লাইসেন্সধারী যানবাহন রয়েছে। যারমধ্যে ২৬১০টি হলুদ অটো, প্যাডেল রিকশা ৪৫০০টি এবং ভ্যান ৩০০টি। ট্রেড লাইসেন্স শাখা সূত্রে জানা গেছে, বিগত অর্থ বছরে ট্রেড লাইসেন্স মারফত আয় হয়েছে ৩ কোটি ১৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৫২ টাকা। মোট লাইসেন্স রয়েছে ৯৩৫২টি। যারমধ্যে নবায়ন হয়েছে ৬৭৭৬টি এবং নতুন লাইসেন্স হয়েছে ২৫৭৬টি। আর বর্তমান অর্থ বছরে (২০১৯-২০২০) চলতি মাসে সাড়ে ৭শ’ লাইসেন্স এখন পর্যন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে আবেদন পড়েছে অসংখ্য। এদিকে আসন্ন বাজেট নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে আগ্রহও দেখা গেছে।