মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালে জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ও লুটপাট আহত অন্তত ৭ জন, থানায় অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ট্রাম্পের শুভেচ্ছাবার্তা কিসের ইঙ্গিত? ভারত কি তবে ব্যর্থ! কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’ — আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবু সাঈদের ‘ভাস্কর্য’ চায় না পরিবার সংস্কার ও বিচারবিহীন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না : নাহিদ একাত্তরের অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতেই ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান- আসিফ মাহমুদ জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের দায়িত্বে সিমন্স
শেবাচিমের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে

শেবাচিমের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে

রিপোর্ট আজকের বরিশাল :
দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র উন্নত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল। প্রতিদিন শত শত মানুষ বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে এই হাসপাতালে আসেন উন্নত চিকিৎসা জন্য। তবে অভিযোগ রয়েছে কর্মরত কর্মচারী-কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বর্তমানে সেবার পরিবর্তে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ চিকিৎসা প্রার্থীরা। খাবার থেকে শুরু করে ঔষধ চুরি,রোগী ও তার স্বজনদের সাথে ডাক্তার ও নার্সের দুর্ব্যবহার, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পদে পদে বকশিস,সেবার নামে অর্থ-বাণিজ্য এখন শেবাচিমকে একটি পঙ্গু প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। সূত্র জানায়,শেবাচিমের ওয়ার্ড মাস্টারকে মোটা টাকা বকশিস দিয়ে ঝাড়দাররা করছে আয়ার কাজ। বিগত ২৪ বছর ধরে হাসপাতালে ঝাড়–দার পদে কর্মরত থাকা তহমিনা বেগম ওরফে মিনু বর্তমানে গাইনি অপারেশন থিয়েটারে মাথায় মাস্ক পরিধান করে আয়ার কাজ করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,অপারেশন থিয়েটার এর মধ্য থেকে সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেওযা শিশুকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে এসে স্বজনদের কাছ থেকে মোটা অংকের বকশিশ আদায় করে মিনু। বকশিশ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নবজাতককে জিম্মি করে যে কোনোভাবেই টাকা আদায় করাই হলো তার মূল র্টাগেট। মিনুর ছেলে আবুল কালাম ও একজন ঝাড়–দার। কিন্তু সেও ফুলবাবু সেজে গলায় আইডি কার্ড ঝুলিয়ে সারাদিন পরিচালকের দপ্তর এর মধ্যেই অঘোষিত পিএস হিসেবে নিজেকে জাহির করে অন্যান্য কর্মচারীদের কাছ থেকে রোটেশন এর নামে হাতিয়ে নেয়া বিপুল পরিমাণ টাকা। এম এল এস এস রাশিদা বেগম গাইনি ওটিতে নিজেকে আয়া পরিচয় দিয়ে মিনুর মতই অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। অপরদিকে শেবাচিমের সাবেক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাহেব আলীর পুত্র মিলনও একজন এম এল এস এস হয়ে ওয়ার্ড মাস্টার এর রুমে কম্পিউটারের কার্জের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রোটেশন বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এ বিষয়ে শেবাচিমের ওয়ার্ড মাস্টার রাশেদুল ইসলাম বলেন, মিনুকে প্রথমবারের মতো ক্ষমা করে দিন। আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর তার ছেলে ঝাড়–দার হলেও পরিচালকের পছন্দের ব্যক্তি। তাই আমার বলার কিছু নাই। তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। আর এম এল এস এস মিলনের ব্যাপারে তিনি বলেন,সে কম্পিউটার টাইপিং পারে বিধায় তাকে দিয়ে আমি কাজ করাই। এটা আইন সম্মত কিনা এ প্রশ্নের জবাবে চুপ থাকেন রাশেদুল ইসলাম।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2012
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD