রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০৮ অপরাহ্ন
রিপোর্ট মো: শাহ জালাল/ মুনতাছির মুহিত:
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) জনগ্রহণমূলক বাজেট (২০১৯-২০২০) অর্থবছরের ৫৪৮ কোটি ১০ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪৩৭ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষনা করেছেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। (৩১ জুলাই) বুধবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় নগর ভবনের সমানে জনসম্মুখে জবাবদিহিতামূলক সংলাপের সাথে এ বাজেট ঘোষণা করবেন মেয়র। যেটি চতুর্থ পরিষদের ঘোষিত প্রথম বাজেট এবং করপোরেশনের ইতিহাসের প্রথম জনস্মুখে উম্মুক্ত বাজেট ঘোষনা ছিলো। বাজেট ঘোষানাকালে মেয়র বলেন, আমি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট ছিলো ৪৪৩ কোটি ৩৯ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৫৫ টাকার। সংশোধিত হয়ে যা দাড়িয়েছে ১২৫ কোটি ৩৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৪৫ টাকা। আর সবশেষে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ৫৪৮ কোটি ১০ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪৩৭ টাকা ঘোণষনা করছি। আমি নগরবাসীর সাথেই আছি, আগামীতেও যে কোন পরিস্থিতিতে এই নগরবাসীর সাথেই থাকবো। এসময় তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনকে ঢেলে সাজানোর জন্য ৫ মিনিটের উন্নতমানের ভিডিও কিলিপ প্রদর্শন করেন। আলোচনায় বলেন, বর্তমান পরিষদ একটি পরিবারের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। সাংবাদিকরা আমাদের গঠনমূলক সমালোচনা করবেন, কোথায় বিচ্যুতি হলে ধরিয়ে দিবেন। এতে আমরা আরো ভালো ভাবে কাজ করার প্রেরণা লাভ করবো। ঘোষিত বাজেট অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে আয় ওব ব্যায়ের বাজেট সমান ধরা হয়েছে। বাজেটে রাজস্ব থেকে আয় ও ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩০ কোটি ১১ লক্ষ ১৯ হাজার ২৯৩ টাকা, উন্নয়নের মোট আয় ও ব্যায় ধরা হয়েছে ৪১৬ কোটি ২২ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৪৪ টাকা, এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তহবিল থেকে ১ কোটি ৭৭ রাখ টাকা ধরা হয়েছে। বাজেটে এডিপি এবং সরকার কর্তৃক থোক ও বিশেষ বরাদ্দ আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে। এছাড়া বাজেটে নগরের ৪৩ টি খাল পুনঃখনন, জেলখাল সংরক্ষন ও এর ওপর ৪ টি আধূনিক ব্রীজ নির্মান, আধুনিক মার্কেট নির্মান, আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার নির্মান, অসমাপ্ত শহর রক্ষা বাধ নির্মাণ, বর্ধিত এলাকায় নতুন পানির লাইন ও গভীর নলকূপ স্থাপন সহ ১৯ টি মধ্য মেয়াদি (৫ বছর) উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের সীমান বৃদ্ধি, জলাশয় ভরাট বন্ধ করা, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনাসহ ১০ টি দীর্ঘ মেয়াদি (১০ বছর) উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বাজেট ঘোষনার সময় মেয়র পতœী লিপি আব্দুল্লাহ, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রবৃন্দ, কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ সহ সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বাজেট ঘোষনা শেষে মেয়র নগরবাসীর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।