শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:১৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
২৫% উৎসবভাতা এর পরিবর্তে ১০০% উৎসবভাতার দাবিতে শিক্ষকরা নগরীর মথুরানাথ পাবলিক স্কুল এর ৫৭তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। বরিশালে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন বরিশালের বিভাগীয় অপরাজিতা সম্মেলন অনুষ্ঠিত নগরীর আলেকান্দা কাজীপাড়া এলাকায় এক প্রবাসীর ক্রয় করা জমির গেট ভাংচুর করছে প্রতিপক্ষরা। বছরের প্রথমদিনে সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরন শান্তি প্রিয় যুবসমাজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে , অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি বরিশাল এর ২য় ব্যাচের ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী আমার কোন দল নেই -সালাউদ্দিন রিপন বরিশাল বিভাগে নূরানী ৩য় শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ
রাজাপুরে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান

রাজাপুরে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান

রিপোর্ট কামরুল হাসান মুরাদ:
“আমার স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে ভয় হয় কখন যেন আমাদের মাথার উপরে চেরা মাডাম সহ টিনটুন ভাইঙ্গা পরে। যহন আবার বাতাস বা বৃষ্টি হয় তহন আমরা বই খাতা লইয়া বড় আপুগো বিল্ডিং এর ক্লাশরুমে যাইয়া বইয়া থাকতে হয়। কারন আমাগো পর্যাপ্ত ক্লাশ রুম নাই। অবিভাবক এর কাছে গিয়ে এমনই কষ্টের কথা বলেন ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শ্রীমন্তকাঠী এম.এল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার কেয়া। ১৯৫১ সালে উপজেলার সাকরাইল শ্রীমন্তকাঠী এলাকায় প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা নগ্ন থেকে শুনামের সাথে চলে আসছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের মূল কাঠামোটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাঠদানে ব্যহত হচ্ছে। আর বৃষ্টি হলেই ক্লাশ রুমে বই সহ আসবাবপত্র ভিজে যায়। এমনকি পাঠদানের সময় শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীরা থাকেন আতঙ্কে। ঘটতে পারে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা। দ্রুত নতুন ভবন বা অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির সদসবৃন্দ ও অভিভাবকগন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুবিনুল ইসলাম জানান, “৬ষ্ঠ শ্রেনি থেকে ১০ম শ্রেনি পর্যন্ত বর্তমানে প্রায় ২ শতাদিক শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহন করছে এ বিদ্যালয়টিতে। বিদ্যালয়ে দুটি অবকাঠামো থাকলেও পাকা অবকাঠামোটিতে পর্যাপ্ত রুম না থাকায় কাঠের তৈরী পুরাতন টিনসেট ভবনটিতে ষষ্ঠ এবং নবম ও দশম শ্রেনির গ্রুপ ক্লাশ নিতে হয়। আর এ অবকাঠামোটি পুরাতন হওয়ার কারণে গত মে মাসের ঘূর্ণীঝড় ‘ফণী’র আঘাতে হেলে পরেছে। বর্তমানে অবকাঠামোটি বাহির থেকে কয়েকটি খুটির মাধ্যমে ঠেক দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে একটু বাতাস হলেই শিক্ষার্থীরা ভয়ে পাশের ভবনটিতে গিয়ে অন্যদের ক্লাশ রুমে গিয়ে আশ্রয় নেয়।” বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিউটি শিকদার জানান, “বিদ্যালয়ের মূল অবকাঠামোটি অনেক আগে কাঠ ও টিন দ্বারা নির্মিত ছিল। বর্তমানে অবকাঠামোটি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় ঘূর্ণীঝড় ‘ফণী’র আঘাতে হেলে পড়ে। বর্তমানে পর্যাপ্ত কক্ষ না থাকায় বিগ্ন হচ্ছে পাঠদান। তবে আমরা অবকাঠামোর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।” এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল বাশার তালুকদার জানান, “এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিনসেট ভবনটি ঘূর্ণীঝড় ‘ফণীর’ আঘাতে হেলে যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা আছে এবং ঘূর্ণীঝড় ‘ফণীর’ পরে এটা ডিজি অফিসের তালিকায় প্রেরণ করা হয়েছে।”

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2012
Design By MrHostBD