শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
রিপোর্ট আজকের বরিশাল:
বরিশালের ঐতিহ্যবাহি বিবির পুকুরে ভেসে উঠছে মরা মাছ। আর পঁচা মাছের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন অসহায় পথচারীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, আশেপাশের বেশ কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও দোকানের বর্জ্য পুকুরে ফেলায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।পরিবেশ অধিদপ্তরের সূত্র জানা যায়, কোন কারণে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজন নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে কমে গেলে ওই পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাতে জলজ প্রানী কিংবা উদ্ভিদও বাঁচতে পারেনা।ইতিহাসের সাক্ষী বরিশাল বিবির পুকুর। ব্রিটিশ শাসন আমলে উইলিয়াম কেরি’র স্ত্রী জিন্নাত বিবি নগরীর সদর রোডের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় দুই একর জমির উপর বিবির পুকুর খনন করেন। ঢাকা থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে বেশ কিছুদিন বরিশালে অবস্থান করার সময় জিন্নাত বিবি জনস্বার্থে পুকুরটি খনন করেছিলেন।জানা গেছে, কীর্তনখোলা নদীর সাথে এ পুকুরের দুটি সংযোগ ছিল। এর একটি সার্কিট হাউজ হয়ে মৃতপ্রায় ভাটার খাল হযে কীর্তনখোলা এবং অপরটি বিলীন হযে যাওয়া গীর্জা মহল্লার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের মাধ্যমে কীর্তনখোলা নদীর সাথে সংযোগ। যে কারণে বিবির পুকুরে জোয়ার-ভাটা অব্যাহত থাকতো। এছাড়া জোয়ারেও নদীর মাছ এ পুকুরে চলে আসতো।কালের আবর্তে সংযোগ খাল দুইটি হারিয়ে যাওয়ায় আবদ্ধ হয়ে পড়েছে বিবির পুকুর। এছাড়া আগে বেশ কিছুদিন পর পর বিবির পুকুরের পানি সেচ দিয়ে ফেলে পানি বদলানোর ব্যবস্থা করা হলেও অনেকদিন বিবির পুকুরের পানি পরিষ্কারের ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই সমস্যা সৃষ্টি।এছাড়া পুকুর পাড়ে গড়ে ওঠা ছোট ছোট ভ্রাম্যমান দোকানে বেঁচাকেনার পর উৎচ্ছিষ্ট ও সেখানকার থালা-বাসন পরিস্কার করতে এ পুকুরের পানি ব্যবহার করে যাচ্ছে দোকানীরা।এদিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর কাছে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরের ঐতিহ্য রক্ষায় দ্রুত কোন ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন পথচারী ও স্থানীয়রা।