রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
বেতাগীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় দক্ষ প্রযুক্তিবিদের অভাবে তিন বছর ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে এক্স-রে কক্ষ। দীর্ঘদিন ধলে বন্ধ থাকায় রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হতে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্র জানা যায়, এক্স-রে মেশিন পরিচালনার জন্য রেডিও গ্রাফার নেই দীর্ঘ তিন বছর ধরে। ২০১৬ সালের ১০ মে কর্মরত রেডিও গ্রাফার আবুল হোসেনকে বেতাগী থেকে জেলা সদর বরগুনা বদলী করে নেয়া হয় । সেই থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ পদটি শূন্য রয়েছে। পদটি শূন্য থাকায় এক্স-রে মেশিনের কক্ষটি বন্ধ রয়েছে। কক্ষের সামনে মরিচা ধরা তালা ঝুলছে। দরজা জুড়ে রয়েছে মাকড়শার জাল। দীর্ঘদিন এক্স-রে কক্ষটি তালাবদ্ধ থাকার ফলে ১টি পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ উপজেলার দারিদ্র্য জনগোষ্ঠিকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত ফি দিয়ে এক্স-রে কার্যক্রম পরিচালিত করতে হয়েছে। ভূক্তভোগী রোগী মো. সালাউদ্দিন বাপ্পি অভিযোগ করেন, ‘ অন্যত্র গিয়ে এক্স-রে করানোর কারনে আমাদের সময় ও অর্থ উভয়ই বেশি অপচয় হচ্ছে এবং পরতে হচ্ছে নানা ভোগান্তিতে। ’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্শ¦বর্তী একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের এক্স-রে মেশিনের প্রযুক্তিবিদ রেডিও গ্রাফার জানান, ‘এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় কারিগরি সমস্যা হতে পারে। দক্ষ প্রযুক্তিবিদের অভাবে এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ থাকায় যন্ত্রপাতিতে নানা ধরনের ত্রুটি দেখা দিতে পারে।’ তবে কি অবস্থায় রয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে পারছেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তেন মং বলেন, ‘দক্ষ রেডিও গ্রাফারের অভাবে এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ থাকায় তিনি যোগদানের পরপরই ঐ শূণ্যপদ পূরনের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে।’