রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন
রিপোর্ট আজকের বরিশাল :
আকস্মিক ভাঙনে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার নদমূলা এলাকার ৪টি ঘর কঁচানদীর গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে ওই গ্রামবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার নদমূলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড কচানদীর তীরবর্তি এলাকায় গত বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ ভাঙন শুরু হলে মুহুর্তের মধ্যে কঁচাতীরে বসবাসরত ৪টি পরিবারের ঘর-বাড়ী, হাস-মুরগি ফসলি জমিসহ একটি বড় এলাকা নদীতে তলিয়ে যায়। ওইসব পরিবারের সদস্যরা প্রাণে রক্ষা পেলেও ঘর এবং মালামাল রক্ষা করতে পারেনি। এছাড়াও ভাঙনের মূখে রয়েছে ৮/১০ টি বাড়ীসহ ওই এলাকার ৫ কিলোমিটার জমি। ওইসব বাড়ী -ঘর ও ঝুঁকিপূর্ণ জমিতে বড় বড় ফাটল রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য মৎস্যজীবি মো. নাসির উদ্দীন জানান, বুধবার রাত থেকেই ভাঙন শরু হয়। সকালে ভাঙনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। তাদের তিল তিল করে গড়ে তেলা বাড়ী-ঘর ও মালামাল মহুর্তেই রাক্ষুসী কঁচা নদী গিলে খেল। মৎস্যজীবি বেলায়েত হোসেন জানান, মালামাল রক্ষাতো দুরের কথা নিজেদের প্রাণ রক্ষা করাই দায়। আমরা এখন র্নিঘুম রাত কাটাচ্ছি। এই গ্রামের সবার মাঝে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল আলমসহ উপজেলা প্রশাসনের একটি দল গতকাল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা ভাঙন কবলিত এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমূল আলম জানান, নদী ভাঙন রোধে কঁচানদীর তীরে ব্লক ফেলে বেড়িবাধ নির্মানের কাজ চললেও ভাঙন কবলিত এলাকাটি এ কাজের বাহিরে রয়েছে। এ বিষয়ে পানিউন্নয়ন বোর্ডের পিরোজপুর এস সিই মো. সাদেকুল ইসলাম বালি (সিইআইপি) জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে সার্ভে রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। পানিউন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মো. সাঈদ আহম্মেদ জানান, ভাণ্ডারিয়ার নদমুলা-চরখলীতে পানিউন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পোল্ডারের যে কাজ চলমান আছে এবং যে অংশ ভাঙনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে ওই অংশ ওই পোল্ডার প্রকল্পের আওতায় কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।