রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন

ববি কর্মকর্তার অডিও ফাঁস

ববি কর্মকর্তার অডিও ফাঁস

রিপোর্ট আজকের বরিশাল :
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রশিক্ষক মো. নূর ইসলামকে ফাঁস হওয়া দুটি অডিওতে এক নারীকে কেটে কাবাব বানানো ও অ্যাসিড মারার হুমকি দিতে শোনা গেছে। ফাঁস হওয়া অডিওতে নূর ইসলাম এক নারীকে শারীরিকভাবে মিলিত হওয়ার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ‘অ্যাসিড মেরে পুড়িয়ে গলিয়ে ক্যাপচার করে ব্যাটারি বানিয়ে রেখে দেওয়ার’ হুমকি দেয়। অপর এক ভিডিওতে একাধিক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা যায়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, নূর ইসলাম শিক্ষক পরিচয়ে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে ২০১৭ সালের ১২ মার্চ বিয়ে করেন। কিছুদিন পরই সেই বিয়ে ভেঙে যায়। উভয়ের সম্মতিতে বিচ্ছেদ হয়। তবে বিচ্ছেদের পরও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন সাবেক ওই স্ত্রীর সঙ্গে। নূর ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মানুষ রাগের মাথায় তো কত কিছু বলে। আমি বলেছি, তার মানে এই না যে আমি এসব করতে যাচ্ছি’। তিনি একাধিক বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও বিচ্ছেদ হওয়ার পর সাবেক এই স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনার পর বুধবার তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অফিস আদেশের চিঠি বৃহস্পতিবার হাতে পেয়েছেন নুর ইসলাম। একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে। জানা গেছে, ২২ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস কার্যক্রম চালু থাকলেও অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন নূর ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে কর্তৃপক্ষ ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার এই অফিস অনুপস্থিতির জন্য কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এই মর্মে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। অডিও ফাঁস হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলো কেন রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা এড়িয়ে যান। জানা যায়, প্রশাসনিক শুদ্ধাচার ভঙ্গের কারণেই তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সেটা নৈতিক স্খলন, তহবিল তছরুপ নাকি প্রশাসনিক অন্য কোনো কারণে করা হয়েছে তা স্পষ্ট হয়নি। তবে রেজিস্ট্রার কার্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট যেকোনো নীতি নৈতিকতার ব্যাপারে সচেতন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অফিসে অনুপস্থিত থাকলে সাধারণত বেতনের টাকা কর্তন করা হয়। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, অডিও ফাঁসের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন হার্ড লাইনে গেছে বলে তিনি মনে করেন। কারণ অফিসে অনুপস্থিতির কারণে এধরনের ঘটনা বিরল। এটি তার কর্মজীবনের জন্য লাল কার্ড।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2012
Design By MrHostBD