মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১১:০০ অপরাহ্ন
বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর (সাহেবেরহাট) থানার বকশি ফাইজু ইসলামকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। ঘুষ বাণিজ্যসহ নানমুখী অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সোমবার থানা থেকে সরিয়ে কাউনিয়া থানায় সংযুক্ত করা হয়। সম্প্রতি বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা হায়দার এবং বকশি ফাইজুল ইসলামের একটি ঘুষ বাণিজ্যের দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকায় প্রকাশে পায়। মুলত সেই সংবাদের পরেই বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খানের নির্দেশে ফাইজুল ইসলামকে থানা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- বকশি ফাইজুল ইসলাম তিন বছরের অধিক সময় বন্দর থানায় কর্মরত ছিলেন। সাম্প্রতিকালে সংশ্লিষ্ট থানাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ ওঠে। কিন্তু ওসি গোলাম মোস্তফা হায়দারের আস্থাভাজন হওয়ায় তিনি প্রতিবারই রেহাই পেয়ে যান। কিন্তু সর্বশেষ ভ‚মি সংক্রান্ত একটি মামলার বাদীর কাছে থেকে ওসি নির্দেশে বকশির ৩ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ অভিযোগে তিনি ফাঁসছেন। জানা গেছে- সেই বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসি ও বকশির বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানার সহকারি পুলিশ কমিশনার অভিযোগটি তদন্ত করছেন। এই ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি নিয়ে গত সপ্তাহে দৈনিক সময়ের আলো এবং পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ পায়। সেই সংবাদের পরেই বকশিকে তাৎক্ষণিক থানা থেকে সরিয়ে দেন পুলিশ কমিশনার। পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়- মামলার বাদীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ অভিযোগটি তদন্তের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু এর আগেই বহু অভিযোগের ভিত্তিতে বকশিকে শাস্তিমুলক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগটির প্রমাণ পাওয়া গেলে ওসির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাকে থানা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মতও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যদিও ওসি এই অভিযোগটি শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন। এদিকে বকশি ফাইজুল ইসলামও তাকে শাস্তিমুলক বদলির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে থানা পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছে- বকশি ফাইজুল ইসলামকে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’