বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
সারাদেশের ন্যায় উপকূলীয় বরগুনার বেতাগীতেও মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে খবর নেওয়ার পাশাপাশি তার সঙ্গে চিঠিপত্র আদান-প্রদান করা যায়। শুধু তাই নয় এখন আর এর সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেন করতেও পোষ্ট অফিস কিংবা ডাক পিয়নের শরনাপন্ন হতে হয়না। জানা গেছে, কেবল চাকরি বা অফিসিয়াল কিছু চিঠিপত্র বা অন্য কোন ডকুমেন্ট সরাসরি পোষ্ট অফিসে গিয়ে অথবা ডাকবাক্সের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ডাকবাক্সের গুরুত্ব একদমই কমে যাওয়ায় সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ সেটির আর খুব যত্ন নেয়না। এমনকি ডাক পিয়নও ডাকবাক্স নিয়মিত খবর রাখে না। বর্তমানে ডাকবাক্সের এমন দুর্লভ হয়ে উঠেছে চলার পথে কখনো-কোথাও চোখে পড়লেও সেটি জরাজীর্ণ অথবা ব্যবহার অনুপোযোগী। চিঠি পত্র পোষ্ট করার কোন অবস্থান নেই। সরেজমিনে বেতাগী পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে স্কুল সড়কে উপজেলা ডাকঘরের সম্মুখে একটি ডাকবাক্সের সন্ধান পাওয়া যায়। পুরানো ওই ডাকবাক্সটির চরম অযত্ন ও অবহেলায় দীর্ঘদিন ধরে চিঠি বিহীন পরে রয়েছে। তাই খবর নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি ডাক পিয়নেরও। ডাকবাক্সটির কোন কার্যকারিতা না থাকয় এটি তালা বিহীন দাঁড়িয়ে রয়েছে। উপজেলা ডাকঘরের পিয়ন মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান দু:খের সাথে জানান, এখন আর কেউ ডাকবাক্সে চিঠি ফেলেনা। অথচ একসময় ডাকবাক্সের চিঠি তুলতে অন্যের সহযোগিতার প্রয়োজন হতো। তাই স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, এখন ডাক পিয়নের যেমন কদর নেই ,তেমনি নেই ডাকবাক্সের ।