রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০৭ অপরাহ্ন
বরগুনার বেতাগী উপজেলার শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. শামসুল হক ফকিরের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও অসদাচরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবওে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পত্রের মাধ্যমে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব করুণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা স্নিগ্ধা রানীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। স্নিগ্ধা রানী বদলীর পূর্বের মারা গেলে মৃত্যুও পরবর্তী কাজের জন্য তাঁর পিতা সুশীল চন্দ্র সমাদ্দার অফিসে গেলে তাঁর সাথে অশালীন আচারণ করেন । ফুলতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা গুল আফরোজ এর সার্ভিস বইয়ের বেতন বৈষম্য নিরসনের জন্য তাঁর অভিভাবক মো. জলিলের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। গেরামর্দণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা আসমাতুনেচ্ছা বরগুনায় বদলী হওয়ায় এলপিসি নিতে বেতাগী শিক্ষা অফিসে আসে । এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১৫০০ টাকা ঘুষ নেয়। দক্ষিণ হোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পুলিন বিহারীর কল্যাণ তহবিলে টাকা পাবে কিনা জানতে চাওয়ায় একই বিদ্যালয়ের সহকারী নির্মল চন্দ্র হাওলাদারের নিকট ২ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। এছাড়াও বুড়ামজুমদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা টুম্পা রানীর নিকট তাঁর বেতন গ্রেড পরিবর্তনের জন্য ১৭ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জিপিএফ হিসাব খোলাসহ যেকোন কাজে আসলে ঘুষ দাবী করেন উচ্চমান সহকারী শামসুল হক ফকির। ঘুষ না দিতে চাইলেই তাদের সাথে শুরু হয় বাক-বিতন্ডা। নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক জানায়, শিক্ষিকারা বিভিন্ন কাজে অফিসে আসলে শামসুল হক ফকির আপত্তিকর কথা বলেন এবং অসদাচরণ করেন। অভিযোগকারী প্রধান শিক্ষকগন দুর্নীতিবাজ অসৎ চরিত্রের উচ্চমান সহকারী শামসুল হক ফকিরের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্ত করে বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে দুর্নীতি ও ঘুষমুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মামসুল হক ফকির বলেন,‘ আমার বিরুদ্ধ আনীত অভিযোগ বানোয়াট। একটি মহল স্বার্থ হাসিল না হওয়ায়, আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করছেন। অভিযোগ সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন,‘ অফিসের উচ্চমান সহকারী শামসুল হক ফকির শিক্ষকদের সাথে অসদাচারণ পূর্বেও আমি পেয়েছি। প্রধান শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠিয়েছি। এ বিষয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমএম মিজানুর রহমান বলেন,‘ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’