শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালীতে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নতুন চকচকে একটি ভবন থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শ কিংবা প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা মিলছে না।জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এ উপজেলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কার্যালয়ের জন্য দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়।সংশ্লিষ্টরা জানায়, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে ৯টি পদের কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদসহ সাতটি পদ শূন্য রয়েছে। শুধু উপজেলা উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অমল চন্দ্র শীল ও ড্রেসার বাবুল খান কর্মরত রয়েছেন। আর কলাপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান এ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।উপজেলা সদর থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিমে সড়কের দক্ষিণ পাশে স্থাপিত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে সরেজমিন দেখা গেছে, প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে। আশপাশে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউই নেই। কার্যক্রম চলার কোনো নমুনাও সেখানে পাওয়া যায়নি।স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার চরাঞ্চলে প্রচুর মহিষ, গরু, ছাগল, ভেড়া ও হাঁস-মুরগি পালন করা হয়। এর মধ্যে কমপক্ষে গরু ও মহিষ রয়েছে ৩০ হাজার। বর্ষা মৌসুমে ওই সব গবাদি পশুর ক্ষুরা রোগ ও হাঁস-মুরগির বিভিন্ন রোগবালাই হয়ে থাকে। তখন রোগ প্রতিকারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও চিকিৎসা না পেলে বিপাকে পড়তে হয় মালিকদের।উপজেলার বাহেরচর বন্দরের বাসিন্দা আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে গবাদি পশু খুরাচালসহ বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় পরামর্শ বা চিকিৎসা সম্ভব হয় না। এ ছাড়া ভ্যাকসিন ও প্রয়োজনীয় ওষুধও ঠিকমতো পাওয়া যায় না।এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখানে ৯ জন স্টাফ থাকার কথা, আছে দুজন। কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য আমরা বারবার আবেদন জানিয়েছি। মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।