বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
রিপোর্ট আজকের বরিশাল:
করোনা ভাইরাস কোভিড-(১৯) সংক্রমন প্রতিরোধে জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থা কমিটি ও জেলা দূর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় গ্রুপের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২২ মার্চ) দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।এসময় জরুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আঃ রাকিব, শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন, আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম ইকবাল, ফায়ার সার্ভিস সদস্য মোঃ ফারুক সিকদার, জেলা তথ্য অফিসার আমীরুল আযম, জেলা প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজসহ বিভিন্ন কর্মকতা ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ।এসময় জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেনকে নির্দেশনা দিয়ে বলেন, বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের প্রার্থমিক পর্যায়ে জরুরী ডায়েরীয়া রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে ওই ওয়ার্ডকে করোনা রোগীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিনত করার জন্য বলা হয়। পাশাপশি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আইসোলেশন ওয়ার্ড করার জন্য স্থান না থাকলে বিভিন্ন সরকারী ভবনে রোগীদের রেখে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করতে হবে। যেহেতু করোনা আক্রান্ত কোন রোগীকে যেখানে-সেখানে বহন করা যাবে না। সেই কারনে নিজ নিজ উপজেলায় তাদের নিরাপত্তা বজায় রেখে সেবা দিতে হবে।এসময় তিনি আরো বলেন, চিকিৎসকের অবহেলায় কোন রোগীর চিকিৎসা হবে না। তা কোনভাবেই মানা যাবে না। সে বিষয় নিশ্চিত করার জন্য সিভিল সার্জনের প্রতি আহবান জানান।অন্যদিকে জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান বলেন, যারা বাহির থেকে এসে পড়েছে। তাদেরকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের জন্য নিজ গৃহে অবস্থান করতে হবে। কোনভাবেই তিনি ঘড় থেকে বের না হয়। সে ব্যপারে পরিবার থেকে সচেতন হতে হবে। আমরা আর চাই না বাহিরের কোন লোক বরিশালে আসুক। এছাড়া গণ পরিবহন, জমায়েত চলাচল না করেন সে ব্যপারে প্রচার-প্রচারনা ও হ্যান্ড বিল বিলি করা অব্যাহত রয়েছে। সে গুলো এক অপরকে পড়ে সচেতন করার জন্য নির্দেশ দেন।এদিকে জরুরী করোনা দূর্যোগ মূহুর্তের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন, যুব উন্নয়নের ভবন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এ্যামব্যুলেন্স প্রস্তুত রাখার জন্য সকল কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।এসময় বরিশাল সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন জেলা প্রশাসককে অবহিত করে বলেন, চিকিৎসকের জন্য ইতো মধ্যে জেলার উপজেলার চিকিৎসকের জন্য গায়ের প্রোটেকশন পোশাক (পিপি) ও মাস্ক এসেছে। সেখানে চশমা ও পায়ের সু আসেনি। অন্যদিকে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে ১শত চিকিৎসকের জন্য ১শ’ পোষাক ও ১শ’ মাস্ক এসেছে যা প্রর্যাপ্ত নয়।এব্যাপারে ভিন্নভাবে সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হেসেনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ত্রিশজন আউট ডোরে চিকিৎসক দায়ীত্ব পালন করে প্রতিদিন ১টা করে তাদের নিরাপত্তা পোষাক দিলে ১শ’ পোষাক কয়দিন ব্যবহার করবে। তাই আমাদের যে পোষাক সরবরাহ করেছে তা সময়ের সাথে পর্যাপ্ত না। এখানে আরো পোষাকের প্রয়োজন রয়েছে।এদিকে বরিশাল জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বরিশালে এত বড় মাপের শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থাকা সত্বেও একটি রোগ চিহ্নিত করার মত কোন ল্যাব নেই। আমি জরুরীভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ে ল্যাবের সমস্যার কথা তুলে ধরেছি। তারপরও আমাদের এখন যা আছে সকলের সমন্বয়ে হয়ে সেসব জিনিষ নিয়ে করোনা মোকাবেলা করতে হবে।