শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
২৫% উৎসবভাতা এর পরিবর্তে ১০০% উৎসবভাতার দাবিতে শিক্ষকরা নগরীর মথুরানাথ পাবলিক স্কুল এর ৫৭তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। বরিশালে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন বরিশালের বিভাগীয় অপরাজিতা সম্মেলন অনুষ্ঠিত নগরীর আলেকান্দা কাজীপাড়া এলাকায় এক প্রবাসীর ক্রয় করা জমির গেট ভাংচুর করছে প্রতিপক্ষরা। বছরের প্রথমদিনে সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরন শান্তি প্রিয় যুবসমাজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে , অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি বরিশাল এর ২য় ব্যাচের ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী আমার কোন দল নেই -সালাউদ্দিন রিপন বরিশাল বিভাগে নূরানী ৩য় শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ
সরকার ১০ টাকায় চাল দেবে

সরকার ১০ টাকায় চাল দেবে

ডেস্ক রিপোর্ট :

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) থেকেই মাঠে নামছে সেনাবাহিনী। সব মিলিয়ে দেশে একরকম শুরু হচ্ছে লকডাউন (অবরুদ্ধ) অবস্থা। এতে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছে শহর এলাকায় বসবাসরত খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠি। কাজ না পেলে এদের দু’বেলা খাওয়ারও সমর্থ নেই। তাই এ শ্রেণির মানুষের কথা চিন্তা করে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। একই সঙ্গে কমদামে ডাল ও ভোজ্যতেল বিক্রির চিন্তাও রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে গ্রামীণ এলাকায় কার্ডধারী প্রায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে এ কার্যক্রম চালু নেই। তবে শহরাঞ্চলে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় প্রতিকেজি ৩০ টাকা দরে খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি করা হয়। এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু এবার বাজারে চালের দাম বেশি না হওয়ায় এর চাহিদা একেবারেই কম। তাই গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বরাদ্দকৃত চালের মাত্র ১ হাজার মেট্টিক টন বিক্রি হয়েছে। বাকি চাল এখনো অবিক্রিত রয়ে গেছে। এসব অবিক্রিত চালই আরও বেশি ভর্তুকি দিয়ে লকডাউনকালীন খোলাবাজারে দরিদ্র মানুষের নিকট ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে চায় সরকার। ওএমএসের ট্রাক থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে একটি পরিবার একবারে সর্ব্বোচ্চ পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। এজন্য সরকারকে অতিরিক্ত কোনো ভর্তুকিও দিতে হবে না। কারণ চলতি বাজেটে খাদ্য ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু ওএমএসের চাল বিক্রি না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে ভর্তুকি কমিয়ে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। এখন ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি করলে আগের বরাদ্দকৃত ভর্তুকি ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকায় হয়ে যাবে বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘৩০ টাকা কেজি হওয়ায় ওএমএসের চাল কেউ কেনে না। তাই আজ (সোমবার) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ চালের দাম কমিয়ে ২৫ টাকা কেজি করার প্রস্তাব পাঠিয়েছে। তবে লকডাউনকালীন শহরের দরিদ্র মানুষের জন্য আরও কম দামে চাল দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের। তাই আমরা এক্ষেত্রে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অর্থসচিবের নিকট পাঠানো হয়েছে। অর্থসচিব অনুমোদন দিলেই অর্থমন্ত্রীর জন্য সারসংক্ষেপ করা হবে। এটি খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। এমনকি আগামী ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দেবেন সেখানে এটি বাস্তবায়নের কথাও থাকতে পারে।’ লকডাউনকালীন শহর এলাকায় বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড প্রায় বন্ধ থাকবে। তাই সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়বে স্বল্প আয়ের দরিদ্র মানুষ। এদের কেউ রাস্তায় বসে পণ্য বিক্রি করে, কেউবা রিকশা চালায়, আবার কেউ দিনমজুর। যাদের অধিকাংশের বসবাস বস্তি এলাকায়। করোনার কারণে এদের অধিকাংশ কিছুদিনের মধ্যে বেকার হয়ে যাবে। আবার কারও আয় কমে যাবে। তাই এইসব মানুষকে রক্ষার জন্য ম্যাসিভ আকারে ওএমএস চালু করার পরিকল্পনা সরকারের। এরই অংশ হিসেবে সীমিত সময়ের জন্য হলেও শহরের দরিদ্র লোকদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হবে। এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান টিসিবি মুজিববর্ষকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে চিনি, ডাল, ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। আসন্ন রমজানেও অন্য বছরের তুলনায় ৭ থেকে ১০ গুণ পণ্য নিয়ে টিসিবি মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ কার্যক্রমের আওতায় প্রতিজন ভোক্তা ৫০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি, ৮০ টাকা প্রতিলিটার হিসেবে সার্বোচ্চ পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল, ৫০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মশুর ডাল এবং ৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। লকডাউনকালী ডাল ও সয়াবিন তেলের দাম আরও কিছুটা কমিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। তবে এক্ষেত্রে তেল ও ডালের দাম এখনো নির্ধারণ হয়নি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2012
Design By MrHostBD