সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
বোরহানউদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ
ভোলার বোরহানউদ্দিনে হাসাননগর ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডের, ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা মো: হানিফ মিয়া (৬৫) ওরফে হানিফ মাল সড়ক দূর্ঘটনায় গত ১৭ মার্চ, ২০২০ ইং সালে নিহত হন। এ দূর্ঘটনাটি সড়ক দূর্ঘটনা, না কি পরিকল্পিত হত্যা তা নিয়ে নিহত পরিবারের মাঝে ধ্রমজালের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত হানিফ মিয়া ওরফে হানিফ মালের ছেলে মো. মোকাম্মেল হোসেন (সুমন) অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু’র জন্মশত বার্ষিকী অনুষ্ঠান শেষে বোরহানউদ্দিন হতে বাড়ীতে ফিরতে ছিলেন। উদয়পুর রাস্তা মাথা হতে খাসমহলের অটো বাইকে করে হাকিমুদ্দিন বাজার সংলগ্ন বেড়িবাঁধের উপর নেমে যান। এরপর তিনি হাকিমুদ্দিন রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলো। হঠাৎ আমাদের ওয়ার্ডের মো. হুমায়ুন এর ছেলে মো. সৈকত (১৫) পিছন হতে ৭০ থেকে ৮০ গতিতে থাকা মোটর সাইকেল দিয়ে চাপা দেয়। ওই মোটর সাইকেল চাপায় আমার বাবা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ওই সময় সৈকত গুরুত্বর আহত হওয়ার অভিনয় করেন। ওই সময় আমরা মৃত্যু’র ঘটনায় সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি। সবাই আমাদের কে শান্তনা দেন। ২০ মার্চ ওই দূর্ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে আমার মা, বোন সহ আত্মীয় স্বজন খুবই মর্মাহত হই। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় আমার বাবা রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, হঠাৎ দ্রুত গতির এ মোটর সাইকেলটি এসে আমার বাবাকে পিছন হতে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে নিহত হন। আমাদের পরিবারের দাবী আমার বাবা দীর্ঘ দিন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং সমাজে কোন অন্যায়-অপরাধ করতে দেখলে সে প্রতিবাদ করতেন। এতে অন্যায়-অপরাধ করা উঠতি বয়সি ছেলেরা তার উপর অনেক সময় ক্ষিপ্ত ছিলেন। এ নিহতের ঘটনাটি কি তারই বহি: প্রকাশ কিনা ভিডিও ফুটেজ এবং ঘটনার সঠিক তদন্ত করলে বের হয়ে যাবে বলে আমার পরিবারের বিশ্বাস। তাই উক্ত ভিডিও ফুটেজটি দেখে এ ঘটনার আসল রহস্য বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করছি। এদিকে জানা গেছে, সৈকত এখন সম্পূর্ণ সুস্থ্য এবং সে ঢাকা তার বোনের বাড়ীতে অবস্থান করছেন। এব্যাপারে সৈকত এর বাবা হুমায়ুনের সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার আলাপ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করে নি। এব্যাপারে হাসান নগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে’র ইউপি সদস্য মো: ফিরোজ আলম জানান, এ মৃত্যুটি মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আমার একজন অভিবাবক ছিলেন। ভিডিও ফুটেজটি দেখে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি।