বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৭ অপরাহ্ন
করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার প্রেক্ষাপটে বরিশালের মসজিদ গুলোতে সংক্ষিপ্ত খুতবায় জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুসুল্লিদের উপস্থিতিও ছিল তুলনামূলকভাবে খুবই কম। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে এবং মানুষের ব্যাপক মৃত্যুঝুঁকি থেকে সুরক্ষার জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে সব ধরনের জনসমাগম বন্ধের পাশাপাশি মসজিদগুলোতে জুমার নামাজ ও অন্যান্য নামাজের জামাতে মুসল্লিদের উপস্থিতি সীমিত রাখা, মসজিদ বন্ধ না থাকলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ হতে সুরক্ষা নিশ্চিত না হয়ে মসজিদে গমন না করা, ওজু করে ও সুন্নত-নফল পড়ে মসজিদে আসা সরকার এবং বিশেষজ্ঞরা সতর্কতার জন্য যেসব নির্দেশনা প্রদান করছেন তা মেনে চলার জন্য জনগণকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। একই সঙ্গে সবাইকে অপরাধমূলক কাজকর্ম থেকে বিরত থেকে ব্যক্তিগতভাবে তওবা, ইস্তিগফার ও কুরআন তেলাওয়াত অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানিয়েছে ইফা।শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে দেখা যায়,মসজিদ গুলোতে নামাজের জন্য চিরচেনা প্রস্তুতি নেই। মুসল্লিদের বাসায় ওজু করে সুন্নত, নফল পড়ে মসজিদে আসতে বলায় এবং জ্বর-সর্দি-কাশি থাকলে মসজিদে না আসার নির্দেশনার কারণে মসজিদে মুসল্লিদের সমাগম ছিল খুবই কম। এছাড়া মসজিদের ওজু খানায় সাবান দিয়ে মুসল্লিদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয় । মসজিদে নামাজ পড়তে আসা অধিকাংশ মুসল্লিকেই দেখা যায়, দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে প্রবেশ করছেন। ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় হাত মোজা ও মাস্ক ব্যবহার করে মসজিদে আসেন অনেকে। বাদ জুমা জিয়া সড়ক জামে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন খতিব মুফতি মাওলানা বেলাল সাহেব। মোনাজাতে বিশ্বের সব দেশকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের আরোগ্য কামনা করে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। মোনাজাতের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন সাধারণ মুসল্লিরা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদের ইমাম ও খতিবরা করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া করেন।