বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন
চরফ্যাশন প্রতিনিধি॥
ভোলার চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের সাধারণ দিন মজুরেরা জানেনা হোম কোয়ারেন্টাইন কি? উপজেলার চরাঞ্চলীয় এলাকা ঘুরে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমন, সচেতনতা ও মহামারি সংক্রান্ত বিষয়ে ধারণা নেই এলাকাবাসীসহ ক্ষেটে খাওয়া মানুষের মাঝে। আব্দুল্লাহপুর শিবারহাট, দুলারহাট নুরাবাদ, নীলকোমল, আহাম্মদপুর হাজিরহাট এবং চর মাদ্রাজ খাসপুকুরসহ হাজারিগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন ছোট, বড় বাজারে গিয়ে দেখা যায় লোকে লোকারন্ন হাটবাজারে চলছে বেচা-কিনা। করোনা নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানে ক্রয় বিক্রয়ের সময় বেধে দিলেও মানছেননা জনসাধারণ। প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে সন্ধ্যার পর চায়ের দোকান থেকে শুরু করে হোটেল রেস্তরার সাটার আধা খোলা রেখে জনসমাগম ও আড্ডা দিয়ে সময় কাটাচ্ছে এসব এলাকার প্রবাসি ও ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সাধারণ মানুষ। হাজারিগঞ্জের বেঁড়িবাধ এলাকার দিন মজুর মফিজ মিয়া (৬০) জানান, থাকি নদীর কিনারায় হোম কোয়ারেন্টাইন কি আমার জানা নেই, পেট চালাতে হলে ক্ষেত খামারে কাজ করতেই হবে। আর তাই ঘর থেকে বের হয়েছি। চরমাদ্রাজের নুর মোহাম্মদ (৬৫) বলেন, করোনা আসুক বা ঘূর্ণিঝড় ফনি আসুক সংসারে চার ছেলে মেয়ে নিয়ে পেটে দুইদিন পাথর চাপা দিয়েছিলাম, আমরা খেয়ে আছি না খেয়ে আছি দেখার কেউ নেই । তাই রিক্সা চালানোর জন্য রাস্তায় বের হয়েছি। একই এলাকার বিবি আয়েশা (৪৫) জানান, মানুষের বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন অফিসে ঝি‘এর কাজ করি আজ তিনদিন ধরে কোথাও কোনো কাজ পাচ্ছিনা আমার চারকূলে কেউ না থাকায় না খেয়ে দিনপাড় করছি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, সরকারি বরাদ্ধের ২০ টন চাল ও এক লাখ টাকা পেয়েছি আমরা। এ টাকায় আলু ডালসহ ১০ কেজি করে চাল অসহায় হত দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ শুরু করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, সাড়াদেশের ন্যায় করোনা ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে সামাজিকভাবে জনসাধারণের দূরত্ব বজায় রাখতে অনির্দিষ্টকালের জন্য চরফ্যাশন উপজেলাকে লকডাউন করে রাখা হয়েছে। পুলিশ ও নৌ বাহিনীসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে রয়েছেন। এছাড়াও ২২৭জন প্রবাসি হোম কোয়রেন্টাইনে রয়েছেন। পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানসমূহ খোলা রাখা হয়েছে।