ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলা সদর উপজেলার গ্রামগঞ্জে পরেনি বিশ্বে মহামারি ভাইরাস করোনার প্রভাব। এখন মধ্য রাত পর্যন্ত চায়ের দোকানে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন ঢাকা চট্টগ্রাম থেকে আশা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। সরকার করোনা ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রচার-প্রচারনা চালালেও গ্রামের মানুষ তা কর্ণপাত করছেননা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ভোলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আরও ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে (নিজ নিজ বাড়িতে পর্যবেক্ষণে থাকা) রাখা হয়েছে। ভোলায় সর্বমোট ৪০০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ শেষে কোনো লক্ষণ না থাকায় সুস্থ্য হয়ে ১৬০ জন প্রবাসীকে দেওয়া হয়েছে ছাড়পত্র। বর্তমানে জেলার সাত উপজেলায় কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ২৪০ জন। এছাড়া করোনা সন্দেহে ১জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাড়ীগুলো চিহ্নিত করতে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং স্থানীয়দের ওই সব বাড়ি এড়িয়ে চলার জন্য শতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তারপরেও গ্রাম গঞ্জের হাটবাজারে চায়ের দোকানে অনেক রাত পর্যন্ত চলে আড্ডা । একটি চয়ের কাপে মুখ রাখছেন অনেকে। কার মুখ থেকে কার শরীরের করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরছে তা টের পাচ্ছেননা! শহরের প্রাণ কেন্দ্রে বড় বড় প্লাজা বন্ধ রাখা হলেও কিছু দোকান খোলা রেখে বিকি কিনি চলছে। পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের প্রধান সড়কগুলোতে ঔষধ ছিটানোর ব্যবস্থা করলেও উপজেলার অন্যান্য হাট বাজারগুলো রয়েছি অরক্ষিত। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান জানান, তিনটি স্তরে কর্মকর্তারা কাজ করছে, দুইয়ের অধিক ব্যক্তি যাতে একত্রিত না হয়। চায়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর নিম্নআয়ের মানুষদের মাঝে চাল ডাল আলু তেল পেয়াজ বিতরণ করা হচ্ছে। তবে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষ কে প্রশাসন যে ভাবে সতর্ককতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে নিরাপদে যেতে বাধ্য করলেও সেই তুলনায় ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের চিত্র ভিন্ন। অসচেতন মানুষগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পুরো উপজেলাই করোনার সংক্রামন ছড়িয়ে পরতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।