রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি ॥
আমতলী পৌরসভার বাসিন্দা আমতলী সরকারী কলেজের ছাত্র আবদুল্লা আল মীম (১৮) নামে এক এইসএসসি পরীক্ষার্থী তার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে না পেরে বাবা মায়ের সাথে অভিমান করে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় ৩শ’ ফুট উচু মোবাইল টাওয়ারে উঠে আত্ম হত্যার চেষ্টা চালায়। প্রায় সাড়ে ঘন্টা অভিযান চালিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, আমতলী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী বাহাদুর জমাদ্দারের ছেলে আবদুল্লা আল মীম এবছর আমতলী সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তার সাথে আমতলীর বেসরকারী আইডিয়াল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ওই পছন্দের মেয়েকে সে দীর্ঘ দিন ধরে বিয়ে করার করার জন্য বাবা মায়ের কাছে বায়না ধরে আসছে। কিন্ত তারা এ মেয়ের সাথে তাদের ছেলের বিয়ে দিতে নারাজ। সোমবার দুপুরে আবদুল্লাহ আল মীম এর সাথে এ বিয়ে নিয়ে তার বাবা বাহাদুর জমাদ্দারের সাথে বাকবিন্ডা হয়। এক পর্যায়ে বাবা বাহাদুর জমাদ্দারকে ছেলে আবদুল্লাহ আল মীম লাঞ্ছিত করে ঘড় থেকে বেড় হয়ে নিরুদ্দেশ হন। বিকেল সাড়ে ৩ টার সময় আমতলী পৌর সভার গাড়ি চালক মো. মনির হোসেন আকস্মিক দেখতে পান আবদুল্লাল আল মীম আমতলী ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এয়ার টেল কোম্পানীর ৩শ’ ফুট উচু টাওয়ারে উঠে আত্ম হত্যার চেষ্টা করছে। তাৎক্ষনিক তাকে আত্মহত্যা থেকে নিভৃত করে আমতলী পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমানকে সে খবর দেয়। পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান আমতলী থানার পুলিশ এবং ফায়ান সাভির্ভসকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমতলী ও পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তাকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়। আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশন ম্যানেজার মো. শাহাদৎ হোসেন জানান, প্রায় ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আবদুল্লাহ আল মীম কে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে। আমতলী পৌর সভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমান জানান, আবদুল্লাহ আল মীম এর টাওয়ারে ওঠার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। এবং আমি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাইকের মাধ্যমে তাকে আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকার জন্য নিভৃত করি। এবং জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা করি। আল্লাহর অশেষ রহমতে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় তাকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এজন্য আল্লাহর কাছে লাখ শুকরিয়া।