দৌলতখান প্রতিনিধি:-
গরিবের নামে বরাদ্দকৃত চাল রাতের আধারে চুরি করে নেয়ায় ওই সাংবাদিক বিষয়টি বোরহানউদ্দিনের নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে ঐ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভোলার বোরহানউদ্দিনে সাংবাদিক সাগর চৌধুরীকে মোবাইল চোর ও ছিনতাইয়ের অপবাদ দিয়ে এভাবে মারধর করেছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের ছেলে নাবিল। দিকদের মামলা নেয়নি। সভাপতি আর চেয়ারম্যানের প্রভাবে থানা পুলিশ একপ্রকার দিশেহারা। ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করে এভাবে লোক সমাজে একজন মিডিয়া কর্মীকে পেটালো আর পাশে দাড়িঁয়ে মানুষগুলো প্রতিবাদ না করে বলদের মতো তাকিয়ে দেখলো! উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে বলে এভাবে দেশের ক্রান্তিকাল সময়ে একজন সাংবাদিককে মারধর করবে? এসকল ব্যক্তিদের কারনে আজ আওয়ামী লীগ দলের বদনাম হচ্ছে। যে দলটি বঙ্গবন্ধুর হাতে পবিত্র ছিল সেই দলে কিছু অসাধু কুচক্র মহল প্রবেশ করে দিন দিন দলটির মান সম্মান নষ্ট করছে। ক্ষমতা থাকলেই অপ-ব্যবহার করতে হবে? কাল যদি ক্ষমতা আপনার না থাকে তারপর কি ব্যবহার করবেন বিষয়টি ভেবে দেখেছেন ? দেশের জনগন যখন করোনা ভাইরাস নিয়ে সবাই আতংকিত আর এই সুযোগে মোবাইল চুরি ও ছিনতাইয়ের অপবাদ দিয়ে একজন সাংবাদিককে এভাবে পেটালেন আ.লীগ নেতার ছেলে! আমরা হতাশ কেন সাংবাদিক নির্যাতনের এই অপরাধ বার বার হচ্ছে । দেশে এখন সাংবাদিকরা মোটেও নিরাপত্তায় নেই আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে এবং ক্ষমতাধরদের হাতে জিম্মি হয়ে আছেন দেশের সাংবাদিকগন। একের পর এক লাঞ্ছিত অপমানিত হচ্ছে। সাংবাদিক জাতির বিবেক সমাজের দর্পন তাদের উপর এমন ধরনের নির্যাতন হলে আমরা সোনার বাংলাদেশ কিভাবে আশা করবো। সমাজের সাহসীরা বিনষ্ট হলে গোটা জাতিই বিনষ্ট হবে দেশ ধ্বংস হবে। গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ থাকবে দয়া করে যেভাবে হোক একজনও সাংবাদিক যেন নির্যাতিত লাঞ্ছিত অপমানিত না হয় কঠোর আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে সাংবাদিক ভাইদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোর দাবি জানাচ্ছি।