বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি ॥
ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের আলোচিত চোর ও দুর্ধর্ষ ডাকাত শামসুদ্দিন ওরফে চোরা শামসুকে হাতেনাতে ধরার পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা তাকে আটকের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। আটককৃত চোর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চর আনন্দ পার্ট-৩ গ্রামের মৃত হযরত আলী মাঝির ছেলে শামসুদ্দিন (৩০) বলে জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার দিনগত রাতে রাজাপুর ইউনিয়নের বানিয়ার চর নামক জায়গায় স্থানীয় কামাল হোসেনের ঘরে দুর্ধর্ষ চুরি করে সে। সারারাত পাহাড়া শেষে মঙ্গলবার সকালে শামসুদ্দিনের নিজ বাড়ি থেকে হাতেনাতে ধরেন স্থানীয়রা। এসময় স্থানীয়রা তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে অন্যান্য চুরির কথা জবানবন্দি নিয়ে তাকে পুলিশে সোর্পদ করেন। স্থানীয়রা জানান, একাধিক চুরি ও ডাকাতির সাথে সে জড়িত রয়েছে। পুলিশ একাধিকবার তাকে আটক করার পরেও ছাড়া পেয়ে যান তিনি। জংশন বাজারের ব্যবসায়ি সুমন অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকমাস আগে তার বসতি স্থাপনের রান্না ঘর থেকে সুজকি একটি মোটরসাইকেল চুরে করেন শামসুদ্দিন ও তার সঙ্গী রাসেল। চুরি করার পর পুলিশের কাছে মুঠোফোনে চুরির সত্যতা স্বীকার করেন সঙ্গী রাসেল। রাসেল জানান, চুরির সাথে সে নিজে ও শামসুদ্দিন জড়িত রয়েছে। তবে রাসেলের ঠিকানা অনুযায়ী পুলিশ অভিযান চালিয়েও পরবর্তীতে আর উদ্ধার করতে পারেননি মোটরসাইকেলটি। ভোলা সদর মডেল থানার আওতাধীন ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক রতন কুমার শীল জানান, শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে চলমান তিনটি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। স্থানীয়রা পুলিশে সোর্পদ করার পর শামসুদ্দিনের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হচ্ছে। এদিকে আলোচিত চোর শামসুদ্দিন আটক হওয়ার পর তার সাথে অদৃশ্য সংশ্লিষ্ট একাধিক দালাল চক্র ইলিশা ফাঁড়িতে আনাগোনা দেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্তু এখনো ফাঁড়ির সামনে দালালদের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো।