রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধি॥
করোনার মহামারির সংক্রমন ঠেকাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে। মানুষজনকে বাড়িঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। পুরো জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। কিন্তু পটুয়াখালীর অনেক হাঁট-বাজারে মানুষে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। বসছে সাপ্তাহিক হাট-বাজার। এছাড়াও বিকেল হলেই গ্রামীন হাট বাজারে বাড়ছে মানুষের ভীড়। বজায় থাকছেনা সামাজিক দূরত্ব। ফলে সরকারের করোনার বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় জেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে গঠিত করোনা বিস্তার রোধের কমিটি অকার্যকর হয়ে আছে এমন অভিযোগ সচেতন মহলের। সরজমিনে, রবিবারে ধানখালীর নোমরহাঁটে বসেছে জমজমাট সাপ্তাহিক হাট। সোমবারে বিকেলে ধানখালীর কালুরহাটে দেখা গেছে জমজমাট সাপ্তাহিক হাট। মঙ্গলবার কলাপাড়ায় বসেছে জমজমাট সাপ্তাহিত হাট। মহিপুর বন্দরে প্রতি সন্ধ্যায় চলে গণসমাগম। ইট ভাটার মালিকরা তাদের ভাটার কার্যক্রম চালু রেখেছেন। প্রতিনিয়ত প্রায় শতাধিক শ্রমিক ভাটায় জড়ো হয়ে ট্রলার কিংবা ট্রলিতে ইট লোড-অঅনলোড করা হচ্ছে। একইভাবে বালু বিক্রির গদি গুলোতেও শতাধিক শ্রমিক দ্বারা বালুর জাহাজে লোড-আনলোড করা হচ্ছে। বিশেষ করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক শ্রেণির নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রিত হাঁট-বাজারগুলো চালু থাকায় করোনায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। অপরদিকে জেলায় লকডাউন চলমান থাকায় থেমে গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনের চাকা। নিত্য দিনের মত শ্রম বিক্রী করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে খেটে খাওয়া মানুষেরা রান্নার চুলা জ্বালাতে যখন হিমশিম খাচ্ছে। চাল, ডাল, তেল, আলু, লবন, পেঁয়াজ, সাবান সম্মিলিত প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তার ঘোষনা এসব মানুষের জীবনে নতুন আলোর সঞ্চার করেছে। খেটে খাওয়া মানুষগুলোর মুখে হাসি ফুটিয়েছে। সরকারের এ খাদ্য সহায়তা অপ্রতুল হলেও ক্ষুধার্ত মানুষ গুলোর আক্ষেপ নেই। এদিকে মানুষের বাড়ী বাড়ী খাদ্য সহায়তার প্যাকেজ নিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষগুলোকে দাড় করিয়ে এক শ্রেনীর ফটোশেসনকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতার পক্ষে ত্রান বিতরনের প্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠনের নামে যৎসামান্য খাদ্য সহায়তা নিয়ে প্রচারনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এক শেনীর মানুষ। ফেসবুক খুললেই ক্ষুধার্ত মানুষদের সাথে নেতার অনুসারীদের ছবি দেখা যাচ্ছে। একটি খাদ্য প্যাকেজ বিতরন করতে দেখা যাচ্ছে ১০-১৫জনকে। ইচ্ছের বিরুদ্ধে অপ্রতুল খাদ্য সহায়তা নিয়ে ফটোশেসনকারীদের দৌরাত্ম নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন এসব খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল জানান, সোমবার শেষ বিকেলে লালুয়ার বানাতিবাজারে গিয়ে জনসমাগম বন্ধ করে দিয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের নির্দেশনায় মাইকিং করছেন।