রিপোর্ট মোঃ মাসুম খান ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি:
সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশ লকডাউন ঘোষণা করেছেন কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পুর্নই আলাদা ১নং গাভা রামচন্দ্রপুর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন হাটবাজারের দোকানপাট অর্ধ খোলা রেখে প্রতিনিয়ত জনসমাগম সৃস্টি করছেন । রাস্তা ঘাটে বিভিন্ন ব্রিকফিল্ডের ট্রাক, টলি, আটো- রিক্সা, দুই, তিন জন সহ হুন্ডা চলাচল করছে। হাটবাজার গুলোতে জনসাধারনের সমাগম আগের চাইতে বহু রুপে বেড়ে গেছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি না থাকায় ব্যাবসায়ী আর সাধারন জনগন সচেতনতার বিষয়টি গায়ে লাগাচ্ছেনা বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। সাধারণ ছুটিতে ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে স্থানীয়রা বাড়ি ফেরায় বাজারে লেগেছে ঈদের আমেজ। খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে ইউনিয়ান পরিষদের সামনে, গুদিঘাটা বাজার, গুয়াচিত্রা বাজার, কাঁচাবালিয়া স্কুলের সামনে, বায়োনের হাট, গুরুদের হাট লোক সমাগমের চিত্র স্বাভাবিক দিন-গুলোর চেয়ে অনেকাংশে বেড়ে গেছে । এসব হাট বাজারের সবধরনের অধিকাংশ দোকানপাট খোলা রাখছে ব্যবসায়ীরা। সকালে স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে লোকজন কিছুটা কম হলেও বিকালে মেলে ঈদের আমেজ। উপজেলা প্রশাসন গত কয়েকদিন ধরে নিয়মিত মাইকিং করে সবাইকে সচেতন হওয়ার জানান দিলেও এসবের কোন তোয়াক্কা করছেননা অনেকেই। তাছাড়া জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ঘোরাফেরা না করার অনুরোধ জানানো হলেও বাস্তবে তা কোন কাজে আসছেনা। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৪ তারিখ প্রর্যন্ত টানা দশ দিনের সাধারন ছুটি ঘোষণা করায় এবং দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর ছেড়ে গ্রামে এসেছেন। তারাও অনায়াসেই রাস্তা ঘাটে কিংবা হাটবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাজারে দোকানে বসিয়েছেন ঈদের ন্যায় আড্ডা। এ বিষয়ে ১নং গাভা রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা মাছুম শেরওয়ানি জানান করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এবং জনগনকে সচেতন করতে এবং জরুরী প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে হাটবাজার বা রাস্তাঘাটে ঘোরাফেরা না করার জন্য মাইকিং করাচ্ছি এবং আমি নিজে হাট-বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের জনসমাগম সৃস্টি না করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। এব্যাপারে যার যার সেইভ টির জন্য নিজে থেকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ চেয়ারম্যানের। তা কেউ মানছেন না অতএব প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।