নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
“করোনা”র কারনে সারাদেশে সকলকে ঘরে থাকার নির্দেশনা থাকলেও বাস্তব চিত্র সম্পুর্নই আলাদা। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও থেমে নেই নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ।প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে দেদারসে। রাস্তায় চলছে বিভিন্ন ইটবাহী ট্রাক, টলি, সিমেন্টের পিকআপ, বালুর ট্রাক। ইমারত নির্মানের কাজ আগের চাইতে বহু গুনে বেড়ে গেছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি না থাকায় ব্যাবসায়ী আর সাধারন জনগন বিষয়টি গায়ে লাগাচ্ছেনা বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। এ ব্যপার ইমারত শ্রমিক ইউনিয়ান’র পক্ষ হতেও কাজ না করার জন্য কোন প্রকার তাগাদানেই । সকালে নগরীর কাশিপুর ,ফিশারীরোড, নথুল্লাবাদ,জিয়া সড়ক, চৌমাথা ,বটতলা ,নতুনবাজার, বেলতলা,রুপাতলিসহ বিভিন্ন এলাকায় ইমারত শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা গেছে। প্রশাসন’র পক্ষ হতে কয়েকদিন ধরে নিয়মিত মাইকিং করে সবাইকে সচেতন হওয়ার জানান দিলেও এসবের কোন তোয়াক্কা করছেননা তারা। তাছাড়া জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ঘোরাফেরা না করার অনুরোধ জানানো হলেও বাস্তবে তা কোন কাজে আসছেনা। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ১১ তারিখ প্রর্যন্ত সাধারন ছুটি ঘোষণা করায় এবং দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর ছেড়ে গ্রামে এসেছেন। সচেতন মহল মনে করছে এ সময় সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখা উচিত।সাথে সাথে রড,বালু সিমেন্ট এর খুচরা ব্যবসায়ীদেরও নিয়মের আওতায় আনা প্রয়োজন। এ বিষয়ে নথুল্লাবাদ ইমারত ইউনিয়নের সেক্রেটারী মালেক হাওলাদার জানান, কাজ না করলে শ্রমিকরা খাবে কি ?।বিসিসি কাউন্সিলর আনিসুর রহমান দুলাল বলেন, ভাইরাসের সংক্রমনের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এবং জনগনকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাসাহতে বেড়হতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যার যার সেইভ টির জন্য নিজে থেকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।