বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে অচেনা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ছয়জনে। এছাড়া নতুন করে আরও তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ জনে দাঁড়ালো। ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও একজন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন। বুধবার সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। ব্রিফিংয়ে গত ২৪ ঘণ্টার করোনাভাইরাস মহামারীর সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিন চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর সেখানে তাণ্ডব চালানোর পর করোনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের অনেক দেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেলেও এখন চীনের অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। প্রায় দুইশর মতো দেশে করোনা ছড়িয়েছে। বাদ যায়নি বাংলাদেশও। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানানো হলেও পরে এই তালিকায় যোগ হয় আরও ৪৮ জনের নাম। গতকাল পর্যন্ত সর্বমোট ৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তাদের মধ্যে পাঁচজন মারা যান। আর সংক্রমণমুক্ত হন ২৫ জন। বুধবার আইইডিসিআরের অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যুর তথ্য জানান। এছাড়া আরও তিনজন নতুন আক্রান্ত এবং একজন সংক্রমণমুক্ত হওয়ায় তথ্য জানান তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিনই আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নতি করে চলেছি। বিভিন্ন হাসপাতালে মেডিকেল ভেন্টিলেটর যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া করোনার জন্য আরও হাসপাতাল তৈরি করছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে টেস্টিং সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আইইডিসিআরের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সংস্থাটি ১৫৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে। তার মধ্যে তিনজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পান তারা। আইইডিসিআরের তথ্যমতে, আক্রান্তদের তারা তিন দিন পরপর পরীক্ষা করেন। প্রথমবার কোভিড-১৯ নেগেটিভ এলে ২৪ ঘণ্টা পর আবার পরীক্ষা হয়। পরপর দুটি টেস্ট নেগেটিভ হলে তাকে বাড়ি ফেরার ছাড়পত্র দেওয়া হয়।