বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
মঠবাড়িয়ায় জমি দখল করতে প্রবাসীর স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ ৫ জনকে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী সোবাহান নামে একজনকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের এসআই জাকির। শুক্রবার সকাল সাতটায় মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালীর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো প্রবাসী নাঈমের স্ত্রী মিতু বেগম এবং নাঈমের শশুর আইয়ুব আলী সরদার, শাশুড়ি রুবি বেগম এবং তাদের স্বজন মিজানুর ও জালাল। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক মঠবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। সেখানে আইয়ুব আলী, রুবি, মিজানুর এবং জালালের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহত মিতুর মামা জলিল জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী নাঈম এর পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেশী মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে সোবাহান ও হেমায়েতদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। নাঈম প্রবাসে থাকায় তার স্ত্রী মিতু বেগম এবং মিতুর বাবা-মা ওই জমি দেখাশুনা করেন। এ সুযোগে প্রতিপক্ষ হেমায়েত, সোবাহান এবং তাদের পরিবারের সহযোগীরা প্রবাসী নাঈমের জমি জবর দখল করার চেষ্টা চালায়। প্রায় সময় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী মীতু বেগম এবং প্রবাসীর শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের কে বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে হেমায়েত, সোবাহান ও তাদের সহযোগীরা। বিষয়টি নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর মিতু বেগম স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ প্রশাসনকে জানালে হেমায়েত ও সোবাহান ও তাদের সহযোগীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। শুক্রবার সকাল সাতটায় প্রবাসীর জমিতে ঘর তুলতে আসেন হেমায়েত, সোবাহান সহ তাদের পরিবারের সহযোগীরা। প্রবাসী নাইমের শ্বশুরবাড়ি এবং তাদের বাড়ি পাশাপাশি। নাঈমের শশুর আইয়ুব আলী ও তার স্ত্রী রুবি বেগম সহ তাদের স্বজনরা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক মেয়ে জামাইর বাড়িতে চলে আসেন। এসময় ঘর তুলতে বাধা দিলে নাঈমের শশুর আইয়ুব আলীর সাথে হেমায়েত হোসেনের বাকবিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে একপর্যায়ে হেমায়েত ও তার ছেলে ইমাম, ইদ্রিস, আইয়ুব, শহিদুল ইসলাম, হেমায়েতের ভাই সোবাহান ও তার ছেলে মুসা, ইসা সহ অজ্ঞাতনামা২০-২৫ সহযোগী পরিকল্পিতভাবে আইয়ুব আলীকে হত্যার চেষ্টায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। তাকে বাঁচাতে আইয়ুব আলীর স্ত্রী রুবি বেগম মেয়ে মিতু এবং তাদের স্বজন মিজানুর, জালাল আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন হেমায়েত, সোবাহান সহ অন্যান্য সহযোগীরা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক মঠবাড়িয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে প্রবাসীর পরিবারকে ফাঁসাতে হেমায়েতের ছেলে শহিদুলকে নাটকীয়ভাবে মঠবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার এসআই জাকির হোসেন জানান, প্রবাসীর জমি নিয়ে সকালে কোপানোর ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে সোবাহান নামে একজনকে আমরা আটক করে মামলা প্রক্রিয়াধীন।