শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বরিশালে জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ও লুটপাট আহত অন্তত ৭ জন, থানায় অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ট্রাম্পের শুভেচ্ছাবার্তা কিসের ইঙ্গিত? ভারত কি তবে ব্যর্থ! কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলেই বেগম জিয়া ‘একজন আপোষহীন নেত্রী’ — আবু নাসের মো: রহমাতুল্লাহ মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবু সাঈদের ‘ভাস্কর্য’ চায় না পরিবার সংস্কার ও বিচারবিহীন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না : নাহিদ একাত্তরের অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতেই ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান- আসিফ মাহমুদ জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের দায়িত্বে সিমন্স
মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন সেই ব্যাংক কর্মকর্তা

মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন সেই ব্যাংক কর্মকর্তা

মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন সেই ব্যাংক কর্মকর্তা
মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন সেই ব্যাংক কর্মকর্তা

বরিশাল:

অক্সিজেন সেচুরেশন লেভেলসহ সার্বিক পরিস্থিতি আগের মতো ঠিকঠাক থাকায় মাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে গেছেন সেই ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান। তিনি জানান, শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরে এসেছেন।জিয়াউল হাসান বলেন, এরপর মা তার দৈনন্দিন কাজ সম্পাদন করে নামাজ পড়তে পারছেন, খাবারও ঠিকভাবে খেতে পারছেন। তাকে হাঁটাচলা করতে দেখে নিজের কাছেই খুব ভালো লাগছে।  এদিকে কৃষি ব্যাংকের ঝালকাঠি সদর শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান তার ফেসবুক আইডি থেকেও একটি পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে তিনি দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করেছেন। নিজের শরীরের সঙ্গে গামছা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে মোটরসাইকেলে করে নিজের মাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন জিয়াউল হাসান নামের ওই ব্যাংক কর্মকর্তা। কোনো উপায় না থাকায় ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যপাশা এলাকার বাড়ি থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয়। জিয়াউল হাসানের মা রেহেনা পারভীন ঝালকাঠির নলছিটি বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা। মায়ের শরীরে জ্বর দেখা দিলে ৯ এপ্রিল প্রথম করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন নলছিটিতে। কিন্তু বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও তার রিপোর্ট না আসায় ১৫ এপ্রিল শেবাচিম হাসপাতালে পুনরায় নমুনা দেন এবং ১৭ এপ্রিল অক্সিজেন সেচুরেশন লেভেল কমতে থাকলে মাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চেপে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ শেবাচিম হাসপাতালে আসেন জিয়াউল হাসান। জিয়াউল হাসান বলেন, ৯ ও ১৫ এপ্রিলের রিপোর্ট ১৭ এপ্রিল রাতে পরপর দুটি আলাদা ম্যাসেজে জানতে পারি। যেখানে ৯ তারিখের রিপোর্টেই মা করোনা পজেটিভ ছিলেন। সেই হিসেবে ১৪ দিনের বেশি হয়ে গেছে তার আক্রান্তের সময়। চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখে যখন তাকে সুস্থ মনে হয়েছে তখনই তাকে নিয়ে বাসায় এসেছি। কাল হয়তো আবার নমুনা পরীক্ষার জন্য দেবো। তবে মায়ের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2012
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD