রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২০ অপরাহ্ন
প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গরম বাতাস শরীরে লাগছে আগুনের হলকার মতো। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই এতটুকু। শিশু, বৃদ্ধরা এবং রোজাদার ব্যক্তিরা গরমে কাবু হয়ে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। কর্মজীবী মানুষ বাইরে বের হলেই অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। গত কয়েকদিন যাবত দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের এলাকা হিসেবে পরিচিত উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। প্রতিদিন বাড়ছে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি বেড়েছে সূর্যের তাপ। এছাড়া আকাশে নেই কোনো মেঘের বলয়। এ গরম আরো কয়েকদিন থাকবে—এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। প্রকৃতি যেন ছাড়ছে তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলছে প্রতিনিয়ত। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তির নিঃশ্বাস নেই। সূর্যের তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মানুষ, গবাদি পশু, সবুজ প্রকৃতি ও ফসলের ক্ষেতসহ পরিবেশে বাস্তুসংস্তানের জীব বৈচিত্র। আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সরে জমিনে দেখা যায়, রুক্ষ আবহাওয়ায় গাছের পাতাও যেন নড়ছে না। ফলে বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে এ জনপদের মানুষসহ জীব বৈচিত্র্য। কয়েক দিনের টানা তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এদিকে প্রকৃতিও যেন নিরব হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন যাবত বৃষ্টি না হওয়ায় কোথাও কোথাও নলকূপের পানিতেও দেখা দিয়েছে সঙ্কট। নদী ও খালের পানিতে দেখা দিয়েছে লবনাক্ততা। যার ফলশ্রুতিতে গভীর নলকূপগুলোতে ব্যবহারে চাপ বেড়েছে। দুপুর ৩ টায় পৌরশহরের প্রানকেন্দ্রে কাঁচা বাজার সংলগ্ন একটি নলকূপের সামনে ১৫ মিনিট দাড়িয়ে থেকে দেখা গেছে, তীব্র খরতাপের কারণে অতীস্ট হয়ে এক মধ্যে বয়েসী নারী নিজে একাই এক হাতে হ্যান্ডেল চেপে আর এক হাতে কস্ট করে নলকূপের পানি মাথায় দেওযার চেষ্টা চালাচ্ছে। আরেকজন ভ্যান শ্রমিক গরমে শরীর জ্বলে যাওয়ায় পাশে দাঁড়ানো অন্যের সহযোগিতা নিয়ে অঝোরে মাথায় পানি ঢালছে। তীব্র খরতাপ ও ভ্যাপসা গরমে শরীর থেকে শুধু ঘাম ঝড়ছে। বাহিরে প্রচন্ড খরতাপে শরীর জ্বলে যাচ্ছে। ঘরে ফ্যানের বাতাসেও যেনো আগুনের ফুলকি ছড়াচ্ছে। কোথাও একটু শান্তির ছায়া নেই। বৈশাখের এই কাক ফাটা রোদ্দুর ও গরমে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে শ্রমজীবী ও রোজাদার ব্যক্তিরা । সংশ্লিস্ট বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘এ অঞ্চলরের উপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। এই দাবদাহ অব্যাহত আরো কয়েকদিন থাকবে। তবে বাতাসের আদ্রতায় জলীয় বাস্পের পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।’