রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৮ অপরাহ্ন
দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে মেঘনায় নৌকা ভাসাবে লক্ষ্মীপুরের অর্ধলক্ষাধিক জেলে। এ লক্ষ্যে গত কয়েকদিন ধরে টানা জাল ও নৌকা মেরামতের কাজ শেষ করেছে জেলেরা। এখন শুধু ইলিশ শিকারে যাওয়ার অপেক্ষা। তবে মেঘনায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও বৃষ্টি না হওয়ায় ইলিশ প্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন জেলেরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের ৮৮ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকায় প্রায় ৬০ হাজার জেলে রয়েছে। তবে সরকারিভাবে নিবন্ধিত ৪৩ হাজার জেলে।তাদের মধ্যে ৩০ হাজার নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন। কমলনগরের মতিরহাট ও লুধুয়া মাছঘাট এলাকার জেলেরা জানান, মেঘনার পানিতে লবণ বেড়ে গেছে। বৃষ্টিও নেই। দীর্ঘদিন পর নৌকা ভাসাবো, কিন্ত ইলিশ পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টি না হলে ইলিশ কম পাওয়া যায়।
সূত্র জানায়, উৎপাদন ও জাটকা সংরক্ষণে বছরের প্রায় তিনমাস মেঘনায় ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকে।কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর গত দুই মৌসুমে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী এলাকায় আশানুরুপ ইলিশ পাওয়া যায়নি। জেলেদের দাবি মেঘনায় ইলিশ খুব কম আসে। তবে মৎস্য কর্মকর্তাদের দাবি, প্রায় ৯০ শতাংশ জেলে মাছ শিকারে বঙ্গপোসাগর ও সাগরের কাছাকাছি অবস্থান করে। এজন্য ইলিশ নদীতে আসার সুযোগ কম পায়। এছাড়া লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে গভীরতা কম। ইলিশ গভীর জলের মাছ হওয় কম গভীর এলাকায় পাওয়া যায় না। লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় মেঘনার পানিতে লবণাক্ততা বেড়েছে। বৃষ্টি হলে তা কমে যাবে। এবার লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ২৫ হাজার মেট্রিকটন ইলিশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে যাবে জেলেরা। তবে জুন পর্যন্ত জাটকা ধরা নিষিদ্ধ। জাটকা রক্ষায় মৎস্যবিভাগসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।