সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোন রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে টানা ২ মাস পরে মৃত্যুর সংখ্যা শূণ্যের ঘরে আসলো। সর্বোশেষ ২৬ জুন মৃত্যুর সংখ্যা শূণ্যের ঘরে ছিলো। তবে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে ২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে গোটা বরিশাল বিভাগে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন মাত্র ১১৩ জন। আর এ সময়ের মধ্যে ৮৩২ জন সুস্থতা লাভ করেছেন। সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে দুইজনের, তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিভাগে কারো মৃত্যু হয়নি। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৬৫৪ জনেই রয়েছে। একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১৩জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৬৯৮ জনে। আর এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৮৩২ জন, যা নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৮ হাজার ১৯০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ৩৯ জন নিয়ে মোট ১৭ হাজার ৮২৬ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ১৮ জন নিয়ে মোট ৬ হাজার ২৮জন, ভোলায় নতুন ৪৫ জনসহ মোট ৬ হাজার ৪৪৯ জন, পিরোজপুরে নতুন ৫ জনসহ মোট ৫ হাজার ১৫৩ জন, বরগুনায় নতুন ৪ জনসহ মোট ৩ হাজার ৭১৫ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ২ জন নিয়ে মোট ৪ হাজার ৫২৭ জন রয়েছেন। এদিকে, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৯৪১ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৯৪১ জনের মধ্যে ২ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি। ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ৪ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ৯৯ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৫১ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ৪৮ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৯ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।