প্রতিবেদক,সিটিজেন টিভি বাকেরগঞ্জ:
বাকেরগঞ্জ থানায় ভাড়ায় চালিত একটি চোরাই অটো গাড়ি আটক। ছাড়িয়ে নিতে মাতোয়ারা নিয়ামতি ইউনিয়নের একটি পেশাদার দালাল চক্র। চোরাই পন্য সাফাই স্বীকৃতির জন্য লড়াই করেছেন নিয়ামতি থেকে চরামদ্দি পর্যন্ত রাজনৈতিক পরিচয়ের কিছু সংখ্যালঘু দালালচক্র। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে একদল সক্রিয় গাড়ি চোর চক্রকে সর্ব সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন একদল পেশাদার দালাল চক্র। এই সক্রিয় দালাল চক্রটির গাড়ি চোর গ্রুপকে নানান ধরনের সহযোগিতাসহ প্রশাসনিক নিরাপত্তা, পাবলিকের গণধোলাই থেকে রক্ষা, এবং চোরাই মালামাল হেফাজতের সর্ব সিকিউরিটি দিয়ে থাকেন এই সকল মহান ব্যাক্তিগন, এমনটাই বললেন ভাড়ায় চালিত অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল, নসিমন, করিমন, টমটম চুরি যাওয়া সর্ব অবলম্বন হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকগন। ইতিমধ্যে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গেছে যে, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি অটো চুরি করে কেন্দ্র করে মালিকানা স্বত্ব নিয়ে হাজির হতে দেখা যায়, নিয়ামতি ইউনিয়ন এর এক প্রভাবশালী গাড়ি চোর চক্র এবং তাদের সহায়তাকারীদেরকে। উভয়েই গাড়ির মালিকানা দাবি করলে আমতলী থেকে চুরি হওয়া একটি ভাড়ায় চালিত ব্যাটারি অটো আকস্মিকভাবে বাকেরগঞ্জ থানায় উদ্ধার করা হয়। অটোটিকে দ্বিতীয় পক্ষের হাতে আসলে নতুন অটোর গায়ে পুনরায় রং করা পাওয়া যায়। বিষয়টির সত্যতা জানতে চাইলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায় যে, মোহাম্মদ আরিফ মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাটারি চালিত অটো গাড়ি চুরি অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাহার বাড়িতে অনেক অটোরিকশার সাওনি এবং খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে। রামনগর ৩ নং ওয়ার্ডে লাহু মিয়া ওরফে (পনু ) মিয়ার পুত্র আরিফ মিয়ার বিরুদ্ধে মিয়া বিরুদ্ধে পেশাদার অটো চুরির অজস্র অভিযোগ রয়েছে। তাহার অন্যান্য সহযোগী আবুল গাজী, কবির হাওলাদার সহ বেশকিছু সহযোগী রয়েছে যারা নিরাপদে গাড়ি চুরির সকল ব্যবস্থা করে থাকেন। আরিফ মিয়া কে এ বিষয়ে কিছু বলতে সাহস অনেকেই পায় না। আরিফ মিয়া ভাই তিনি নাকি ক্ষমতাসীন দলের জেলা নেতৃবৃন্দের অনেক আশীর্বাদ পুষ্ট । তাঁর ভাই রাজনৈতিক বড় পোস্টে রয়েছেন বলে মানুষকে নানান ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে থাকেন। তাহলে কে সেই রাজনীতিক নেতা এবং কেই বা তাহার আশ্রয়দাতা। প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে আরো বেশ কয়েকজন নেতার নাম। তারা কতটাই বা লাভবান চোরাই গাড়ি চুরি করা চোরের পক্ষে সাফাই গেয়ে? বেরিয়ে এলো চোরাই গাড়ির রমরমা বাণিজ্য এর আরও বহুরূপ কাহন-! একটি নতুন অটো গাড়ি চুরি হলে নিমিষেই বিক্রির জন্য চারিদিক দালালেরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েন বিক্রির জন্য। পুরনো অটো চুরি হলে ব্যাটারির ভালো থাকলে ব্যাটারি আলাদা করে বিক্রি হয়, ডিফেন্সিয়াল, চেসিস আলাদা বিক্রি হয়, এবং গাড়ির বডি সহ পুরনো লোহা লক্কর কেজি হিসেবে ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি হয় বিক্রি হয়। এখানেই শেষ নয় শুরু হয় নতুন নাটক-!!! ব্যাটারি ক্রেতা এবং বিক্রেতা, লোহা-লক্কড়ের ভাঙ্গারি ক্রেতাদেরকে জিম্মি করে মামলা সহ নানান ভয়-ভীতি দেখিয়ে একদল সুবিধাভোগী আদায় করেন মোটা অংকের টাকা। ভাঙারি ক্রেতা মহাজন’ তিনিও কম নয়-!!! তাকে জিজ্ঞেসিলে ভাঙ্গারি অটো কোথা থেকে পেয়েছেন-? সুস্পষ্ট ভাষায় বজ্রকন্ঠে জানিয়ে দেন এখানকার শীর্ষ নেতারা আমার ব্যবসার সাথে জড়িত।।। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিক গন বলেন যে, কাম সাড়ছে এত বড় নেতাদের নিয়ে লরাই করা ঠিক হবেনা। আমাদের গাড়ির দরকার নেই। উল্লেখ্য,ইতিমধ্য চোরাই গাড়ি তালিকায় শীর্ষে থাকা মোটরসাইকেল সহ ভাড়ায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা, অটো ভ্যান, মাহিন্দ্রা, পিকআপ, টলি নসিমন-করিমন সহ নানান ধরনের চোরাই গাড়ির ১০০% গ্যারান্টি সহকারে নিরাপত্তা দিয়ে ক্রয় বিক্রয় করে থাকেন এই দালাল চক্রটি।তাছাড়া চোরাই গাড়ি ব্যবসা করতে তেমন কোন বড় অংকের টাকা প্রয়োজন হয় না। এককথায় “””ইধার কা মাল উধার করেঙ্গে কাচা কাচা পয়সা মিলেঙ্গে””” তাছাড়া একটি সহজ বিষয় হলো চোরের উপর বাটপারি করলে বিষয়টি সাথে জড়িতদের নাম বলে দিতে দ্বিধাবোধ করে না এসকল গাড়ি চোরেরা।
*এভাবে বেরিয়ে পড়ল থলের বিড়াল-

*
তাহলে কাহারাই বা এই সকল চোরের আশ্রয়দাতা মালামাল সংরক্ষণ ট্রানজিট বর্ডার পাস ক্রেতা-বিক্রেতা-!? নাম বললে সকলেই বলবেন, “how do that impossible-!” unbelievable-!”
এদেরকে দিয়ে এমন জঘন্য কাজটি করা সম্ভব কখনো কি-?আমি কেন এদেরকে সবাই চিনেন। এ কাজের সিন্ডিকেটদের সাথে এমন সব নামিদামি লোক জড়িত যে, তাদেরকে স্বাভাবিক অবস্থায় অনেকেই অনেক কিছু বলা সম্ভব নয়-! প্রতিবেদক এর মন্তব্য, বিগত ২০১৭-সালের ১৭-ই অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে আমার ক্রয় কৃত মোটরসাইকেলটি অভিনব কায়দায় চুরি হলে প্রাথমিকভাবে ভেঙে পরি। আমার গাড়িটি চুরি হওয়ার পূর্বে ই শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহো এখানকার মেয়র, প্যানেল মেয়র, পুলিশ প্রশাসন, পীর সাহেব, ব্যবসায়ী সহ সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল চুরি হয়েছিল। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে গভীর থেকে গভীরে গিয়ে অনুসন্ধানী তথ্য সংগ্রহ করি। তাহলে কে বা কাহারা এই গাড়ি চোর চক্র??? শুধুই কি বাকেরগঞ্জ এরিয়াতে গাড়ি চুরি হয় না”কি বরিশাল জেলায় ও রয়েছে এক শক্তপোক্ত একটি সিন্ডিকেট? একটি জেলা জুড়ে যথেষ্ট নয় পুরো বরিশাল বিভাগ জুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এসব গাড়ি চুরির সিন্ডিকেট। উত্তরের মালামাল দক্ষিণে নিয়ে এসে বিক্রির করে আর দক্ষিণের মালামাল উত্তরে , পূর্বের মাল পশ্চিমে আর পশ্চিমের মালামাল পূর্বে নিয়ে বিক্রি করে।
বাকি টা গাড়ি চুরির গল্প স্পর্ট পড়া ভিডিও সিডির ডিস্ক মত আটকে গেল-!!!