রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া:
পৌর শহরের সদর রোডে, থানার একেবারে সামনেই নির্মিত হচ্ছে একটি বহুতল ভবন। বছর দুয়েক আগে ভবন মালিক এক তলা শেষ করে দ্বিতীয় তলা করার সময়ই চোখে পরে স্থানীয় মিডিয়া কর্মিদের। কেননা ভবন নির্মাণের সম্পত্তি প্রায় ১ শতাংশেরও কম হবে। তখন পৌরসভা থেকে প্লান পাশ করা হয়েছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয় ওই ভবনের মালিক সাকুরা বেগমের কাছে। তিনি সে সময়ে কোন স্বদোত্তর দিতে না পাড়ায়, যোগাযোগ করা হয় বানারীপাড়া পৌরসভায়। তখন কর্মকর্তারা বানারীপাড়া প্রেসক্লাবকে জানান, পৌরসভা থেকে কোন প্রকার প্লান দেওয়া হয়নি ওই ভবনটি নির্মাণ করার জন্য। তারপরে ৩য় তলা পরে ৪র্থ তলার নির্মাণ কাজ করছিলেন ভবন মালিক পক্ষ। ওই ভবনে এর আগে পৌরসভা থেকে একটি হোল্ডিং নম্বরও দেওয়া হয়েছে, যাহার নং-১৩৭।
বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভা। এখান থেকে কোন প্রকার প্লান না নিয়েই অবৈধ ভাবে নির্মাণাধীন ওই বহুতল ভবনের দেয়াল ধ্বসে গত রবিবার (২৯ আগষ্ট) বিকেলে বিকট শব্দে চারতলা ভবনের একটি অংশের দেয়াল পার্শ্ববর্তী দোকানের টিনের চালার ওপর পরে। এ সময় অল্পের জন্য রক্ষা পান ওই দোকানে থাকা ৬/৭ জন ব্যক্তি। এ বিষয়ে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম জানান, এতে তার দোকানের টিনের চালা দুমরে মুচড়ে যায়। শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন আতংকিত হয়ে পরে। জানা গেছে ২০১৯ সালে পৌরসভার কোন ধরনের অনুমতি না নিয়েই ওই বহুতল ভবনের কাজ শুরু করেন উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের দিদিহার গ্রামের মৃত মো. সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী সাকুরা বেগম।এ বিষয়ে মো. সিদ্দকুর রহমানের ছেলে মো. শাহাদাত হোসেন নিরব প্রেসক্লাবকে জানান, নির্মাণ শ্রমিকদের অসাবধানতার কারনে দেয়াল ধ্বসে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার মেয়র ও প্যানেল মেয়রের সাথে তার কথা হয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে মিমাংশার পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানান শাহাদাত। এদিকে পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল বলেন, ভবন কর্তৃপক্ষের সাথে তার কোন কথা হয়নি। প্যানেল মেয়র ১ মো. এমাম হোসেন ও মো. মনির হোসেন জানান, তাদের সাথেও কোন ধরনের কথা হয়নি ওই ভবন মালিকের সাথে। এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ জানান, অবৈধ ভবনটি অপসারনের জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। অপরদিকে ইমারত নির্মাণ এক্সপার্টরা জানিয়েছেন, ওই ভবনের জায়গা অনেকটা কম ও সরু হওয়ায় সেখানে বহুতল কোন স্থাপনা নির্মাণ হলে মারাত্মক ঝুঁকি থেকেই যায়।