বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
২৫% উৎসবভাতা এর পরিবর্তে ১০০% উৎসবভাতার দাবিতে শিক্ষকরা নগরীর মথুরানাথ পাবলিক স্কুল এর ৫৭তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। বরিশালে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন বরিশালের বিভাগীয় অপরাজিতা সম্মেলন অনুষ্ঠিত নগরীর আলেকান্দা কাজীপাড়া এলাকায় এক প্রবাসীর ক্রয় করা জমির গেট ভাংচুর করছে প্রতিপক্ষরা। বছরের প্রথমদিনে সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরন শান্তি প্রিয় যুবসমাজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে , অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি বরিশাল এর ২য় ব্যাচের ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী আমার কোন দল নেই -সালাউদ্দিন রিপন বরিশাল বিভাগে নূরানী ৩য় শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ
বরগুনায় বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে গিয়ে জানলেন তিনি ‘মৃত’

বরগুনায় বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে গিয়ে জানলেন তিনি ‘মৃত’

বরগুনায় বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে গিয়ে জানলেন তিনি ‘মৃত’
বরগুনায় বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে গিয়ে জানলেন তিনি ‘মৃত’

বরগুনাধ:

বরগুনা সদর উপজেলার ৬ নম্বর ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়লবনগোলা গ্রামের বৃদ্ধ মো. ইউসুফ (৬৮) বাস্তব জীবিত থাকলেও কাগজে-কলমে মৃত। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটও দিতে পারেননি এই বৃদ্ধ। পাচ্ছেন না বয়স্ক ভাতা। এমনকি কাগজপত্রে মৃত দেখানোর কারণে করোনার ভ্যাকসিনও নিতে পারছেন না তিনি। এখন নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করতে বিভিন্ন অফিসে ধরনা দিচ্ছেন ইউসুফ। আগস্ট মাসের শুরুর দিকে বয়স্ক ভাতা পেতে অনলাইনে আবেদন করতে যান ইউসুফ। তবে কোনো ভাবেই অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করা যাচ্ছিল না। তখন তিনি উপজেলা নির্বাচন অফিসে গেলে জানতে পারেন কাগজপত্রে তাকে ‘মৃত’ দেখানো হয়েছে। কিন্তু কীভাবে জীবিত থেকেও মৃত হলেন এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য তাকে জানানো হয়নি। বৃদ্ধ ইউসুফের অভিযোগ, সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) ফারুক শিকদারের গাফিলতির কারণে এমনটা হয়েছে। ভুক্তভোগী মো. ইউসুফ বলেন, আমি বেঁচে থাকতেও আমাকে মৃত বানিয়েছেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ফারুক শিকদার ও স্কুলশিক্ষক মো. বারী। ভোটার তালিকা করার সময় আমার যাবতীয় কাগজপত্র তাদের কাছে দিয়েছিলাম। তবুও আমার সঙ্গে কেন এ রকম করা হয়েছে বুঝতে পারছি না। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাকি গাফিলতি তা আমার বুঝে আসছে না। এ বিষয়ে জানতে সাবেক ইউপি সদস্য এবং ভোটার তালিকা যাচাই কমিটির সদস্য ফারুক শিকদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তথ্য সংগ্রহকারী সহকারী শিক্ষক আব্দুল বারী নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, আমি শত শত মানুষের তথ্য সংগ্রহ করেছি। এর মধ্যে এই একটা ভুল হয়ে গেছে। অন্যান্য জায়গায়ও এ রকম ভুল হয়েছে। ইউসুফের সঙ্গে যেটা হয়েছে সেটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। এজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অফিসে কথা বলছি। বিষটি তারা আমলে নিয়েছেন। দ্রুত এর একটা সমাধান হবে বলে আশা করছি। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য এবং স্কুলশিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তাদের ভুল স্বীকার করে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। ইউসুফের সমস্যাটি দ্রুতই সমাধান হবে বলে আশা করছি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2012
Design By MrHostBD