নিজস্ব বার্তা পরিবেশকঃ
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে অপরাজিতাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় রূপান্তরের আয়োজনে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল জেলা জাপার সাধারন সম্পাদক এ্যাড. এম.এ জলিলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. কাজী এনায়েত হোসেন, বরিশাল বাসদের সাধারন সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি নীলু, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারন সম্পাদক দুলাল চন্দ্র মজুমদার, দৈনিক সত্য সংবাদ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক এআর শুভ, নারী ইউপি সদস্য মোসা: লায়লা বেগম, হিরন বেগম, তানজিলা আক্তার, জাহানারা পারভিন, ফেরদৌসি মুন্নি। উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমাদের বরিশাল পত্রিকার যুগ্ন বার্তা সম্পাদক আহমেদ বায়েজিদ, দৈনিক ভোরের অঙ্গিকারের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ইমরান হোসেন, দৈনিক সময়ের বার্তার স্টাফ রিপোর্টার নিরব হোসেন, মতবিনিময় সভার সমন্বয়কারী সাকিলা আজিজ সান্তু সহ সাবেক, বর্তমান জনপ্রতিনিধি এবং অসংখ্য অপরাজিতারা। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেন রূপান্তর-অপরাজিতা প্রকল্পের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কো-অর্ডিনেটর ঝুম কর্মকার, প্রকল্প সমন্বয়কারী রাবেয়া বসরী। আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় রাজনৈতিক নেতাদের কাছে রাজনৈতিক দলগুলোতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব শতকরা ৩৩ ভাগ নিশ্চিতকরণের দাবী তুলে ধরেন অপরাজিতা নারীরা। সভায় অপরাজিতা জাহানারা বলেন, সত্যিকথা বলতে, রাজনৈতিক দলে আমাদের গুরুত্ব কম দেয়া হয়। তৃণমূলে এখনো নারী নেতৃত্বের বিষয়টি অবহেলার চোখেই দেখা হয়। তিনি বলছেন, “তৃণমূল রাজনীতিতে যদি গুণগত এবং সংখ্যাগতভাবে নারীদের প্রতিনিধিত্ব যথাযথভাবে না থাকে তাহলে তো জাতীয় রাজনীতিতেও এর প্রভাব থাকবে। কমিটিতে নারীদের শুধু সংখ্যায় আনলে হবে না, তাদেরকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াতেও আনতে হবে। কিন্তু এখানেই সবচেয়ে বড় ঘাটতি।” একাধিক অপরাজিতা নারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহবান রেখে বলেন, আপনারা রাজনীতিকেই নারীবান্ধব করে গড়ে তরুণ। রাজনৈতিক পলিসি বলেন আর কাঠামোগত সংস্কার বলেন, সেটা করতে হবে। আমাদের দেশে রাজনীতির যে পুরষ চরিত্র অর্থাৎ শক্তি প্রয়োগ, মারামারি এসব সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে। তাহলেই রাজনীতিতে নারীদের গুণগত ভূমিকা বাড়বে।” সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে বাংলাদেশের নারীরা বহু ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও আমাদের সমাজে তাঁরা এখনো ব্যাপকভাবে বঞ্চিত, নিগৃহীত, নির্যাতিত ও অবহেলিত। এই বঞ্চনা ও নিগ্রহের অন্যতম কারণ হলো, সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাষ্ট্রীয় থেকে পারিবারিক পর্যায় পর্যন্ত নারীদের ব্যাপক পশ্চাৎপদতা। আর এই পশ্চাৎপদতা কার্যকরভাবে অবসান করতে হলে প্রয়োজন নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন। তবে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এখনো খুব একটা উৎসাহব্যঞ্জক নয়। রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন স্তরের কমিটি থেকে শুরু করে সংসদ ও প্রশাসনে নারী-পুরুষের অনুপাত দেখলেই তা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।