শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে মুশুরিয়া ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসা,মুশুরিয়া,বাবুগঞ্জ,বরিশাল এর গনিত বিষয়ে নিয়োগ পান সালমা আক্তার ও ইংরেজিতে রুমানাত জাহান।সালমা আক্তারের স্বামী অঢেল টাকা পয়সার মালিক দেশের একটা নামীদামি ব্যাংকে উচ্চপদে কর্মরত। সালমার নিয়োগের একমাস এর মাথায় দুর্নীতি পরায়ন অধ্যক্ষ মোঃ শহিদুল ইসলামকে মোটা অংকের টাকা প্রদান করে।এবং সেই থেকে বিগত ১বছর ১মাস থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে আসেনি এবং বিলেও স্বাক্ষর করেনি।সে ঢাকায় তার পরিবারের সাথে থাকেন।অথচ তার নকল স্বাক্ষর দিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ক্লার্ক মোঃ সবুজ তার প্রতিমাসের এমপিও বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা উত্তোলন করে।নব- নির্বাচিত কমিটির সভাপতি মোঃসুমন শরীফের নজরে এই বিষয়টি আসলে সে অধ্যক্ষকে কারন জিজ্ঞেস করে এতে অধ্যক্ষ তাকে সালমাকে কল দিতে বললে।সভাপতি মোঃসুমন শরীফ শিক্ষক মিলানায়তনে সকল শিক্ষকদের সামনে তাকে কল দিয়ে মাদ্রসায় আসার অনুরোধ করে।এবং তাকে বুঝিয়ে বলে এবার দাখিল পরীক্ষায় অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী শুধু গনিতে ফেল করেছে।পরেরদিন সালমা সভাপতি মোঃসুমন শরীফকে কল করে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয় একটু পরে অধ্যক্ষ তাকে কমিটি থেকে বাতিল করবে বলে হুমকি দেয়।এবং তারপর থেকে অধ্যক্ষ আর মাদ্রাসায় নিয়মিত আসেনা।মাঝে মাঝে সকাল ৮টায় এসে স্বাক্ষর করে চলে যান।এছাড়াও অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম সর্বদা শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা খেয়ে ৬তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন।সে নুরানী মাদ্রাসা খুলে এবং বাধ্যতামুলক সকল শিক্ষকের বেতনের ২০ শতাংশ নুরানী বাবদ অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামকে দিতে হয়।অধ্যক্ষ সালমা ও রুমানাত মিলে ষড়যন্ত্র করে সভাপতি মোঃসুমন শরীফ কে বাতিল করার জন্য ম্যানেজিং কমিটির কিছু সদস্যকে টাকা পয়সা দিয়ে সভাপতি মোঃসুমন শরীফের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করিয়ে মাদ্রাসা বোর্ডে জমা দেন।সেখানে সৎ শিক্ষক প্রতিনিধি প্রভাষক আতিকুর রহমান , শিক্ষক প্রতিনিধি মোস্তাকিম বিল্লাহ এবং এলাকার সন্মানিত জনপ্রতিনিতি ও ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য তৈয়ব মেম্বার স্বাক্ষর দিতে সম্মত হয়না।সালমা তাদেরকেও শিক্ষক প্রতিনিধি রুমানাতকে দিয়ে ভয় দেখায়।অন্যদিকে ইংরেজি শিক্ষিকা কমিটির নারী সদস্য রুমানাত জাহান ক্ষমতার বলে প্রতিনিয়ত ২/৩ ঘন্টা প্রতিষ্ঠানে থেকে চলে যায়।অধ্যক্ষ ও সভাপতির এই দ্বন্দে সাধারন শিক্ষকরা খুব উদিগ্ন।বিগত ২ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে উপজেলা প্রতিনিধি সহ আমরা ৩/৪জন সাংবাদিক ঘটনাস্থানে ছিলাম।এবং প্রতিষ্ঠানের চারপাশে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম এর সন্ত্রাসী বাহিনী ছিল।শিক্ষক আসাদুজ্জামান বাবুল বলেন গনিত শিক্ষিকার অনুপস্থিতিতে আমাকে দিয়ে অধ্যক্ষ গনিত ক্লাস নিতো।কিন্তু বিগত কয়েকবছর গনিতে ফেল করার জন্য সাধারন শিক্ষক আমাকে হেনস্থা করেন।আমি এর সুষ্ঠ সমাধান চাই।সে বলেন আপনারা একটু নতুন রুটিন দেখেন সেখানেও সালমার জায়গায় আমার নাম।এবার ১১ জন সকল বিষয় Aগ্রেড পেয়েও গনিতে ফেল করেছেন এই দায়বার সকলে আমাকে দিচ্ছে।এতোদিন প্রাইভেট পড়িয়ে কিছু টাকা ইনকাম করতাম তাই কিছু বলিনি।কিন্তু এবার আমার নিজ মেয়ে পরিক্ষা দিবে তাই সালমা যাতে নিয়মিত ক্লাস নেয় এই কামনা।প্রভাষক মতিউর রহমান বলেন আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে চাইনা কারন এর আগে বিভিন্ন সময়ে কথায় কথায় শোকজ করে টাকা হাতিয়ে নেয় অধ্যক্ষ।তাই আমি কিছু বলবোনা আপনাদের সত্যতা জানতে হলে হাজিরা খাতা দেখলেই পারেন।প্রভাষক মনির বলেন আগে আমাকে অনেক অত্যাচার করেছে কিন্তু অধ্যক্ষ এখন আমাকে অনেক ভালোবাসে সামনে নিজে থেকে স্যার বলেছেন আমাকে উচ্চতর গ্রেড দিবে বিনে টাকায়।এর আগে ২জনকে বিশাল টাকা ঘুষ নিয়ে প্রোমশন দিয়েছেন।তাই আমি এখন তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না।এছাড়াও ভাইস প্রিস্নপাল সহ কম্পিউটার অপারেটর,আয়া,নৈশপ্রহরী,পিয়নসহ অনেকগুল পোস্টে নিয়োগ দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অধ্যক্ষ।সভাপতি সুমন শরীফ এই পোস্ট গুলোয় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চায়।একারনেও অধ্যক্ষ সভাপতিকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছেন।