মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নগরীর মথুরানাথ পাবলিক স্কুল এর ৫৭তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত। বরিশালে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন বরিশালের বিভাগীয় অপরাজিতা সম্মেলন অনুষ্ঠিত নগরীর আলেকান্দা কাজীপাড়া এলাকায় এক প্রবাসীর ক্রয় করা জমির গেট ভাংচুর করছে প্রতিপক্ষরা। বছরের প্রথমদিনে সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরন শান্তি প্রিয় যুবসমাজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে , অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি বরিশাল এর ২য় ব্যাচের ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী আমার কোন দল নেই -সালাউদ্দিন রিপন বরিশাল বিভাগে নূরানী ৩য় শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ আমি গরীবের বন্ধু সারাজীবনই গরীবের সেবা করতে চাই,বানীতে সালাউদ্দিন রিপন,
বরিশালে সদর উপজেলায় ভোগান্তিতে হাজার হাজার সেবাপ্রার্থী!

বরিশালে সদর উপজেলায় ভোগান্তিতে হাজার হাজার সেবাপ্রার্থী!

বরিশালে সদর উপজেলায় ভোগান্তিতে হাজার হাজার সেবাপ্রার্থী!
বরিশালে সদর উপজেলায় ভোগান্তিতে হাজার হাজার সেবাপ্রার্থী!

বরিশাল :

নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসেন না বরিশাল সদর উপজেলার অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এই দফতরে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। রোববার (১২ মার্চ) সকাল ৯ টা থেকে সোয়া ১০ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন দফতরে ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, সদর তথ্য সেবা কর্মকর্তা, সদর মেরিন ফিশারিজ অফিসার, উপজেলা সমবায় অফিসারের কার্যালয়ে রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব সন্নামতকে দেখা গেছে সকাল ৯টার আগে অফিসে আসতে। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৯টা ২১ মিনিটে সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নাসিমা বেগমের কক্ষ খুলতে দেখা যায় তার অফিস সহকারীকে। সকাল ১০টায়ও অফিসে প্রবেশ করেননি যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নাসিমা বেগম। ৯টা ৫০ মিনিটে সদর উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা সুদীপ্তা বড়াল এর কক্ষ খুলতে দেখা যায় তার কম্পিউটার অপারেটরকে। এরপর পর্যায়ক্রমে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, সদর মেরিন ফিশারিজ অফিসার, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয়ের তালা তাদের সহকারীরা খুললেও ১০টা পর্যন্ত রুম তালাবদ্ধ দেখা গেছে সদর মেরিন ফিশারিজ অফিসারের কক্ষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে অফিসে ঢুকেন উপজেলা সমবায় অফিসার লতিফা আকতার, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফয়সাল জামিল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বীথিকা সরকারসহ অন্যরা। অভিযোগ রয়েছে- তারা সময়ের তোয়াক্কা না করে যখন খুশি অফিসে আসেন আবার নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান। কর্মকর্তাদের অফিসে আসা-যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের সহকারীরা বলেন, স্যারদের বিভিন্ন স্থানে প্রোগ্ৰাম থাকে, তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে স্যাররা মিটিংয়ে ব্যাস্ত থাকেন। তাই তারা যখন খুশি আসেন, আবার যখন খুশি বের হয়ে যায়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকাল ৯টা থেকে ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অফিস কক্ষে থাকা বাধ্যতামূলক। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ অফিসে নির্ধারিত সময়ে কর্মকর্তারা আসেন না। ৯টায় অফিসে আসার বাধ্যবাধকতা থাকলেও বেশিরভাগই ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার পরে আসেন। এ সুযোগ নিয়ে তাদের অধীনস্থ কর্মচারীরাও নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসছেন না। এসব বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামানের মোবাইলে ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে ফোন কেটে তিনি ফিরতি এসএমএসে পরবর্তীতে ফোন দেওয়ার কথা জানালেও তা করেননি।

সূত্র: বাংলামেইল

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2012
Design By MrHostBD