রবিবার, ০৪ Jun ২০২৩, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
একটি দেশের উন্নয়ন করতে হলে শিক্ষার উন্নয়ন করতে হবে। ভালো বীজ বপন না করলে ভালো ফসল আশা করতে পারেন না,বর্তমান মেধাবী জেনারেশন সব উন্নত দেশে চলে যাচ্ছে ( উচ্চবিত্ত)মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত মেধাবীদের পছন্দের তালিকায় থাকে ডাক্তারী/ ইন্জিনিয়ারিং তার পরের সারির প্রচেষ্টা থাকে BCS এবং তার পরে থাকে ব্যাংক বা কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান, সবশেষে যাদের কিছু হয়না তারাই আসে শিক্ষকতায়,কারণ এই প্রফেশনে বেতন খুবই সামান্য, এই পেশায় ১ম শ্রেনীর একজন প্রভাষক এর বাসা বাড়া ১৫০০ টাকা, ইদ বোনাস ৫০০০ টাকা,যেখানে একজন রিকসাওয়ালার দৈনিক ইনকাম ১০০০ টাকা মাসে ৩০ হাজার সেখানে একজন উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষক এর বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা,এইজন্য কোন মেধাবী এই পেশায় আসতে অনিচ্ছুক। যারাও আসে তারা মনপ্রাণ দিয়ে শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করেছে না,কারন অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারনে সর্বদা হিনোমন্যতায় থাকে।আপনাকে বলছি নিশ্চয়ই আপনি বাজারের অবস্থা জানেন,১২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৮০০০ টাকা বাসাবাড়া দিয়ে বাকি ৪৫০০ টাকায় পুরো মাস একটা মধ্যেবর্তী পরিবারের চলাটা দিবাস্বপ্ন। এই অর্থনৈতিক জটিলতার জন্য মেধাবীরা এই পেশায় আসতে অনিচ্ছুক যারা আসে তারাও উদাসীন । তাহলে
স্কুল কলেজে আপনার সন্তান কে গড়ার জন্য কার কাছে পাঠাচ্ছেন।পৃথিবীর সবচেয়ে ফার্টিল জমি আমাদের, প্রাকৃতিক ভাবে সমৃদ্ধ আমাদের ভুমি,অথচ আমাদের খাদ্য আমদানি করতে হয়,কারন আমরা শিক্ষিত কৃষক তৈরি করতে পারি না,আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা একটা খিচুড়ি ।এখানে মেধাবী শিক্ষক থাকলে তারা ছাত্রদেরকে মানব সম্পদে রুপান্তরিত করতে পারবেন,তৈরি হবে বিজ্ঞানী,প্রকৌশলী সহ মেধাবী জেনারেশন। যে শিক্ষকদের গবেষণা করা উচিৎ পড়াশোনা করা উচিৎ, তাদেরকে রাস্তায় শুয়ে থাকা মানে পুরো দেশটা রাস্তায় শুয়ে থাকা,শিক্ষা জাতীয়করণের বিকল্প কিছু নেই,যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রকৃত উন্নয়ন চান,শিক্ষা জাতীয়করন সহ,ডাক্তার, ইন্জিনিয়ারিং এর চাইতে আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা প্রদান করুন।
আর একটা কথা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি আপনি শিক্ষকদের অভিভাবক এর দায়িত্বে আছেন, কিন্তু আপনার উদাসীনতা সত্যি দুঃখজনক। নাকি আপনি ডাক্তার,আর ডাক্তাররা নিজেদের সবচেয়ে মেধাবী ভাবে তাই শিক্ষকরা কম- মেধাবী তাই আপনার তাদের দুঃখ কষ্টে কিছু যায় আসেনা।প্লিজ পবিত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যদি মন থেকে পালন নাই করতে পারেন তবে দায়িত্ব ছেড়ে শিক্ষকবান্ধব কোন নেতাকে দেন।জনগণকে বলছি আপনাদের সন্তানকে মানুষ করতে হলে মেধাবী শিক্ষক দরকার তার জন্য জাতীয়করণের বিকল্প নেই,আপনার সন্তানের জন্য এই আন্দোলন আপনারা সবার সামনে থেকে আন্দোলন করা উচিত। আর শিক্ষকদের বলছি আপনাদের কিছু সংখ্যক অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক তারা মেধায় ঐ পোস্ট ধারণ করেন না,তারা আপনাদের আন্দোলনে আসতে বাঁধা দিচ্ছে,কারন তার যোগ্যতার চেয়ে সে বড় পজিশনে আছে, তাই জাতীয়করণকে সে পদ হারানোর ভয় পান, সামনে রমজানের ছুটিতে আন্দোলনে অংশ নিন।এটা দেশের উন্নয়ন এর আন্দোলন, সোনার বাংলা গড়ার আন্দোলন, তাই সবাই আওয়াজ তুলুন।বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ তৈরি করতে শিক্ষা জাতীয়করণের বিকল্প নেই।
মো: জসিম উদ্দিন ইমন
প্রভাষক ইংরেজি ও
স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা।