শনিবার, ০৩ Jun ২০২৩, ১০:০৯ অপরাহ্ন
বরগুনা:
বরগুনার পাথরঘাটায় বৈদ্যুতিক ফাঁদ দিয়ে বন্য শুকর শিকার করার অভিযোগ উঠেছে আল আমিন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে শুকরটি উদ্ধার করে বন বিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা কার্যালয়ে নিয়ে আসেন সদর বিট কর্মকর্তা আল আমিন। এর আগে এদিন সকাল ৭টার দিকে হরিণঘাটা বনের চরলাঠিমারা থেকে বাহিরের চরে আল আমিনের ধান ক্ষেতের পশ্চিম পাশের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় বন্য শুকরটি উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত আল আমিন একই এলাকার মো. আজাহার ক্বারীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হরিণঘাটা বনের পাশে আল আমিনের ধান ক্ষেত আছে। সেখানে প্রায়ই হরিণ ও বন্য শুকর আসে। সেখান থেকে হরিণ ও বন্য শুকর ধরার জন্য বিদ্যুতের ফাঁদ পাতলে মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দিনগত রাতে প্রায় ২ মণ ওজনের একটি বন্য শুকর ধরা পরে। পরে শুকরের চামড়া খুলে মাংস বিক্রির জন্য প্রস্তুতের সময় বন বিভাগের কর্মকর্তারা খবর পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় সেটি উদ্ধার করে। তবে অভিযুক্ত আল আমিনকে আটক করা সম্ভব হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শী অভিজিৎ জানান, সকাল ৬টার দিকে তাকে আল আমিন ফোন করে কাঠ কাটার কথা বলে ডেকে নিয়ে যান। পরে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন শুকরটিকে রশিতে ঝুলিয়ে চামড়া খুলছে। সেটি দেখে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল আমিন বলেন, এ জন্যই তোমাকে ডেকেছি।অভিযুক্ত আল আমিনের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার জানান, ওই লোকজন যেই সময়ের কথা বছে তখন তার স্বামী নদীতে মাছ শিকার করতে যান। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পাথরঘাটা বন বিভাগের সদর ভিট কর্মকর্তা আল আমিন জানান, আমাদের নিয়মিত টহলের সময় হরিণঘাটার চরলাঠিমারা এলাকার বাহিরের চরের ধান ক্ষেতের পাশে একটি বন্য শুকরের চামড়া ছেলার জন্য ঝুলিয়ে রেখা হয়েছে দেখতে পাই। পরে সেটি জব্দ বরা হয়। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। শুকরটি যিনি ধরেছেন তিনি বন বিভাগের সঙ্গে কাজ করে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আল আমিন শুধু আমাদের সোর্স ছিল। এছাড়া আমাদের অফিসের কোনো লোক তিনি নন।