রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার // বরিশাল নগরীর কশিপুর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক ভয়াবহ হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে নারী-পুরুষ উভয়ই রয়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেছে, হামলাকারীরা নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন এবং স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে। ঘটনার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, সোহেল মাতুব্বর (৩৫) তার স্ত্রী কাজী রুমা (২৫) মেয়ে ইয়াশা (১৪)। ঘটনার সময়ে হামলাকারীদের স্থাণীয়রা বাদা দিলে তাদের মধ্যেও কয়েক জন আহত হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নগরীর ২৮ নং কাশিপুরের চৌহতপুর গ্রামের মাতুব্বর বাড়ির বাসিন্দা মৃত মাকসদুর মাতব্বরের ছেলে সোহেল মাতুব্বরের জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল তারই ছোট বোন ও বোন জামাতা রফিক। ১২ মে ২০২৫ ইং তারিখ, আনুমানিক বিকাল ৪টা নাগাদ সোহেল পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজ বাড়িতে ছিলেন। এসময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে সোহেল মুতুব্বরের বোন মিষ্টি বেগম তার ছেলেদের সহ অন্তত ১৫/১৬ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও হামলা চালায়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, বোন জামাতা রফিক ও তার ছেলে মোঃ বায়জিদ এবং সহযোগী মোঃ সাকিন, মোসাঃ ইপ্তী, বোন মিষ্টি, তামান্না, ডলি, ইশাত, রফিক মুন্সি সহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি। হামলাকারীরা বাড়ির দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তারা ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং আলমারিতে রাখা নগদ ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও দুটি মোবাইল ফোনও তারা নিয়ে যায় বলে জানান অভিযোগের বাদী রুমা বেগম। রুমা আরো বলেন, অভিযুক্তদের সাথে তাদের জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করেই এই হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তারা অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী একটি মহল তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করারও চেষ্টা করছে। ঘটনার পরপরই রুমা বেগম বরিশাল এয়ারর্পোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। অভিযোগপত্রে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, এ ধরনের হামলা এই এলাকায় নিরাপত্তাহীনতার চিত্র স্পষ্ট করছে। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির শিকদার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সিসি ফুটেজ আমরা হাতে পেয়েছি। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত চলছে। প্রতিবেদন হাতে আসলে মামলা নেয়া হবে। এই ঘটনাটি শুধুমাত্র একটি পারিবারিক জমি বিরোধ নয়, বরং এটি নাগরিক নিরাপত্তা ও আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। দ্রুত বিচার এবং দোষীদের গ্রেপ্তার না হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।